শরীফ শাওন: [২] স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান আরও বলেন, জুনে আসছে দেশীয় ‘বঙ্গভ্যাক্স’, অন্যদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।
[৩] ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকার ৩ কোটি ডোজ পাওয়ার কাজে অগ্রগতি হয়েছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে তারা ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করবে। জনসংখ্যার ২০ শতাংশ হিসেবে গ্যাভি থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন আসা শুরু করবে জুন মাসে।
[৪] সচিব আব্দুল মান্নান আরও বলেন, বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচ্ছে। আশা করছি জুন মাসের মধ্যে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ বাজারে আসবে। ভারতের তৈরি অপর একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ চলছে, যার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে। সেখান থেকেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এছাড়াও ফাইজার, স্পুটনিক ও মডার্নার ভ্যাকসিন পেতে যোগাযোগ চলছে।
[৫] ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৯০ লাখ লোকের ভ্যাকসিন নিশ্চিত হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, প্রথম পর্যায়ে ফ্রন্টলাইনারদের দেওয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ৬০ উর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সকলকেই এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা প্রতি মাসে ২৫ লাখ লোককে দেওয়া হবে।
[৬] আব্দুল মান্নান বলেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতার বাইরে থাকবে দেশের প্রায় ৩৭ শতাংশ শিশু যাদের বয়স ১৮ বছরের কম এবং সংক্রামক রোগে আক্রান্ত কিংবা পূর্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিরা।
[৭] ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা টেকনোলজি ট্রান্সফার করলেই দেশে উৎপাদন শুরু হবে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির এ সক্ষমতা আছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :