শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৩১ দুপুর
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনোয়ার শাহাদাত: যাদুবীয় গল্প বাস্তবতার ফাঁদে

আনোয়ার শাহাদাত: যারা আমাকে বিব্রত করতে চায় তারা আমার দুর্বলতা লয়ে ‘জিগায়’ যাতে করে আমি তেমন বোধ করে থাকি অর্থাৎ বিব্রত। যেহেতু তারা জানে আমি যাদুবীয় বাস্তবতা বা ম্যাজিক্যাল রিয়ালিজম জিনিসটা বুঝি না তাই তারা সেটাই আমাকে ‘জিগায়’। আমি তখন তাদের ‘ধুনফুন’ বোঝাবার চেষ্টা চরিত করি। ধুনফুন এর সম্ভাব্য মানে হলো গিয়ে এটা-সেটা বা হাবিজাবি জাতীয় কিছু একটা। এই করে আমি খানিকটা ভারে কেটে চলে যেতে চাই এবং আমার মতো করে যাদুবীয় গল্প বাস্তবতার ফাঁদে ফেলি।

বলি পাকিস্তানের গল্প, ১৯৭০ এর নির্বাচনের ঠিক আগে, ইয়াহিয়া সরকার সকল নেতাদের রেডিও টেলিভিশনে বক্তব্য রাখবার সুযোগ দেয়, এটা চলে ২৮ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে চলে ১৪ দলের নেতাদের বক্তব্য। শুরু হয় প্রথম দিন মুজিবের বক্তব্য দিয়ে আর শেষ হয় সিন্দের ইউনাইটেড ফ্রন্টের জি.এম. সৈয়দ দিয়ে। অন্যান্যদের মধ্যে কাইয়ুম খান, ওয়ালি খান প্রমুখরাও বক্তব্য দেন। গল্পের এই পর্যন্ত এলে পরে তারা আমার ম্যাজিক্যাল গল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পরে। এর ফলে আমার কিছুটা ভয় ধরে। সেই ভয় হতে কিছুটা হৃদ ও দেহ কম্পন শুর হয়। আমি তাদের অভয় দেই এই বলে যে ‘কাঁপাকাঁপির’ কী দেখলেন? তারা বলে এতে ম্যাজিক কোথায়? আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলি, আছে এর ভেতরে যাদু লুকিয়ে আছে। এই মতোন বলি যে, পাকিস্তান প্রশাসন আসলে যার বক্তব্য মনে করেছে কিছু হয়নি তিনি হলেন মুজিব। তারা এও বলেছে যেহেতু তার আগে মুজিবের রেডিও বা টেলিভিশনে বক্তৃতা দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। সেই জন্যই প্রধানত মুজিবের বক্তব্যখানি খারাপ হয়েছে। এরপর তারা, যারা আমাকে বিব্রত করতে এসেছেন তারা তখনো জানতে চায় ইহাতে ‘ম্যাজিক’ কই? আমি তখন খিস্তিখেউর করে বোঝাতে চাই যে সামনে আছে এবং আরও বলি যে পাকিস্তান যার বক্তৃতা সর্বাধিক পছন্দ করেছে ওই ১৪ জনের মধ্যে তিনি হলেন মাওলানা ভাসানী! এরপর তারা হৈহৈ করে ওঠেন এই বলে যে, আমার বলা এ গপ্পের কোথাও এতোটুকুন কোনো ম্যাজিক নেই। ততোক্ষণে আমার কম্পন আরও বেড়ে গেছে এবং সেই স্ট্যাটাস বজায় রেখে বলি যে নির্বাচনের জন্য যে বা যার বক্তৃতা সবচেয়ে ভাল হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন তিনি কার্যত নির্বাচনই করেননি অর্থাৎ ভাসানী । তারা তখন এই সস্তা ম্যাজিক্যাল রিয়ালিজমের গল্পের বিরোধিতা করে বলে এটা একটা বাস্তবতা। আমি তখন বলি এইভাবেই এটা তখন একটা যাদুকরী বাস্তবতায় রূপ নিয়ে একধরনের ‘যাদুবাস্তবতা’ নির্মাণ করে যে...! চিয়ার্স! তারা তখন তা বিশ্বাস করেনা। আমি তখন এই মতো ভাব করি যে, তারা আসলে জানেনা ম্যাজিক্যাল রিয়ালিজম মালখানি কী! হেঃহেঃহেঃ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়