শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২১, ০২:২৩ রাত
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২১, ০২:২৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সচিবদের বাসা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে প্রভাবশালী অতিরিক্ত সচিবসহ চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তাদেরও

অনলাইন রিপোর্ট: রাষ্ট্রীয় কাজের সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য দেশে প্রথমবারের মতো সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজধানীর ইস্কাটনে তিনটি ২০ তলা ভবনে ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২৭৪ কোটি টাকা। কিন্তু বিশাল আয়তনের অত্যাধুনিক নতুন এসব ফ্ল্যাটে অনেক সচিবই বাসা পাচ্ছেন না। আবার অনেক সচিব নির্ধারিত এই বাসায় থাকছেন না। কারণ তাদের থাকার সুব্যবস্থা আছে। এসব বাসা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে প্রভাবশালী অতিরিক্ত সচিবদের। অনেক সচিব ও অতিরিক্ত সচিব অবসরে যাওয়ার পরও ইস্কাটনের বাসা ছাড়ছেন না। অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সচিব বিভিন্ন কমিশন ও সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে সচিব ভবনেই থাকছেন। এ কারণে কতিপয় সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ পদের কর্মকর্তা ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে থাকতে পারছেন না। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেন, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তৈরি করা বাসাতেই তাদের থাকতে হবে। বরাদ্দের বাসায় না থাকলে সরকারি কর্মকর্তারা ভাতা পাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পরও সচিবরা তাদের নির্ধারিত বাসায় থাকছেন না। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বাসা বরাদ্দকারী প্রতিষ্ঠান সরকারি আবাসন পরিদপ্তর উভয় সংকটে পড়েছে। সংশ্নিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ইস্কাটনের বিলাসবহুল আবাসিক ভবনগুলোতে সচিবদের চেয়ে অতিরিক্ত সচিবরাই বেশি বসবাস করছেন। ফলে অনেক কর্মকর্তা সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাদের জন্য বরাদ্দ ফ্ল্যাটে আবেদন করেও সময়মতো পাচ্ছেন না। সম্প্রতি পদোন্নতি পাওয়া এক সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি সচিব ভবনে বাসা বরাদ্দের আবেদন করার পরও বাসা পাননি। অথচ সরকার সচিবদের নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে ইস্কাটনে বেশি ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে। যেহেতু অতিরিক্ত সচিবরাই অধিকাংশ ফ্ল্যাটে রয়েছেন, সেহেতু আর খালি নেই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ১৪ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিব রয়েছেন ৭৭ জন, গ্রেড-১ পর্যায়ের কর্মকর্তা ১৪ জন। এই তিন পদে মোট ৯১ জন কর্মকর্তার জন্য ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ ইস্কাটনে নির্মিত সচিবদের ৫২ নম্বর ভবনে ৩৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে সিনিয়র সচিব ও সচিব আছেন মাত্র ৭ জন ও গ্রেড-১ কর্মকর্তা একজন। ৭১ নম্বর ভবনের ৩৮টি ফ্ল্যাটে সচিব আছেন ৭ জন, গ্রেড-১ কর্মকর্তা দুইজন এবং ৬৯ নম্বর ভবনের ৩৮টি ফ্ল্যাটে সিনিয়র সচিব ও সচিব আছেন ১৭ জন। এতে ১১৪টি ফ্ল্যাটে মাত্র ৩৮ জন সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তা বসবাস করছেন। বাকি ৭৬টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ৪৩ জন অতিরিক্ত সচিব এবং ৩৩ জন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়ন সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা বসবাস করছেন।

এদিকে বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৪৯০ জন। একই পদের ৪৯০ জন কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ৪৩ জন অতিরিক্ত সচিব অত্যাধুনিক ফ্ল্যাটে বসবাসের সুযোগ পাওয়ায় অন্যরাও এখানে ফ্ল্যাট দাবি করছেন। না পেয়ে তারা অসন্তুষ্ট।

সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, অনেক সচিবের ঢাকায় নিজস্ব বাসভবন থাকায় সরকারি বাসা বরাদ্দ নিতে চান না। আবার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সচিব মিন্টো রোডে মন্ত্রিদের বাসভবনে থাকছেন। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে একাধিক সচিব মন্ত্রীদের বাসভবন বরাদ্দ নিয়ে পর্যায়ক্রমে বসবাস করে চলেছেন। মন্ত্রীদের আবাসন সংকট থাকলেও সচিবরা মিন্টো রোডের ওই বাসভবন ছাড়ছেন না। আবার নির্ধারিত ইস্কাটনের ফ্ল্যাটেও সচিবরা অনেকে উঠছেন না। মিন্টো রোডের ৯, ১০, ১১ ও ৩৮ নম্বর বাসভবনে ২০০৬ সালের আগে মন্ত্রীরা বসবাস করতেন। এখন সেখানে সচিবরা থাকছেন। ফলে তারা সচিব ভবনের ফ্ল্যাট বাসা বরাদ্দ নিতে নারাজ। এ সুযোগে সচিবদের ভবন এখন অতিরিক্ত সচিবদের আবাসনে পরিণত হয়েছে।

এর ফলে যেসব কর্মকর্তার নিজস্ব ফ্ল্যাট ও বাংলো নেই তারা সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার পরও ইস্কাটনে নিজ ভবনে বাসা বরাদ্দ পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বর্গফুটের অত্যাধুনিক এসব বাসায় অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিবরা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে বসবাস করছেন। এ ফ্ল্যাটগুলোর সার্বিক দেখভালের দায়িত্বেও রয়েছেন সাবেক একজন সচিব।

সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-ওয়ানদের জন্য পৃথক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কোন সচিব কোন ফ্ল্যাটে থাকবেন, এটা নির্ধারণ করা নেই। তাই অনেক সচিব এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিচ্ছেন না। সচিবরা বরাদ্দ না নেওয়ায় কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বলেছেন, বরাদ্দের বাসায় না থাকলে সরকারি কর্মকর্তারা ভাতা পাবেন না- এ বিষয়ে লিখিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত ইয়ার মার্ক (নির্দিষ্ট পদের জন্য বাসা) বাসাগুলোকে বুঝিয়েছেন। এ জন্য সচিবদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরকারি বাসা না ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে অবসরের পরও সরকারি বাসায় বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদন নিয়েছেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া অবসরের পর সরকারি বাসায় থাকার কোনো সুযোগ নেই।

গণপূর্ত অধিদপ্তর ও আবাসন পরিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বিচারপতিদের জন্য পৃথক ফ্ল্যাট নির্মাণের পর প্রধানমন্ত্রী সচিবদের জন্য পৃথক ফ্ল্যাট নির্মাণের নির্দেশ দেন। এর পর সচিবদের ফ্ল্যাটগুলো ইয়ার মার্ক করার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু ওই প্রস্তাব অনুমোদন হয়নি। কারণ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা পদোন্নতির পর সচিব পদে অল্প সময় দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে অনেক সচিবকে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। আবার অনেকে নিজস্ব বাসায় থাকেন। অনেকে আগে থেকেই সরকারি বাসায় বসবাস করছেন। তাই অল্প সময়ের জন্য সচিবদের বাসা বদলের ঝামেলা এড়াতে এ প্রস্তাব অনুমোদন হয়নি। তবে বর্তমানে ইয়ার মার্ক করা বাসাগুলোতে সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা অল্প সময়েই বসবাস করেন।

বিপুল অর্থ ব্যয় তবুও নিরাপত্তা ঝুঁকি :বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছেন। ওইসব বাসায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। এর পরও সরকারের ৭৭ জন সিনিয়র সচিব ও সচিবের নিরাপত্তার জন্য বছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কারণ, প্রত্যেক সচিবকে নিরাপত্তা প্রহরী পদের বিপরীতে ১৬ হাজার টাকা সিকিউরিটি অ্যালাউন্স (নিরাপত্তা ভাতা) দিচ্ছে সরকার। সচিবরা নিরাপত্তাকর্মী রাখলেও এই টাকা পাচ্ছেন; না রাখলেও পাচ্ছেন। প্রতি মাসে তাদের বেতনের সঙ্গে ব্যাংকে চলে যাচ্ছে এই টাকা। অথচ অনেক সচিবের নিরাপত্তাকর্মী নেই। সরকারের সচিবরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। তাদের কাছে অনেক স্পর্শকাতর তথ্য থাকে। এ কারণে তাদের নিরাপত্তা ও আধুনিক সুবিধাদি খুবই প্রয়োজন। কিন্তু বেশিরভাগ সচিব সরকারের সংরক্ষিত এলাকায় থাকতে পারছেন না। অনেকে স্বেচ্ছায় থাকছেন না। সচিবদের নিরাপত্তার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একই স্থানে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আধুনিক আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি সচিবদের ভবনে রয়েছে সুইমিংপুল, লন, টেনিস ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট, গভীর নলকূপ, এসটিপি, ড্রিংকিং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসহ সব সুবিধা।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, কাজের সুবিধা, নিরাপত্তা ও যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করার জন্য সরকার সচিবদের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ করেছে। এটি অনেক ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সচিবরা কেন থাকছেন না, তা জানি না। তিনি বলেন, সচিবদের বাসায় যদি জুনিয়র প্রভাবশালী কর্মকর্তারা থাকেন, তাহলে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। আর অতিরিক্ত সচিব অনেক বেশি। তাদের মধ্যে অল্প কয়েকজন এ সুবিধা পেলে অন্যদের কর্মস্পৃহা কমে যাবে। কাজের প্রতি তাদের উদ্যম থাকবে না। একই স্তরের কর্মকর্তাদের সুবিধায় পার্থক্য হলে বৈষম্য বেড়ে যাবে। এসব বাসা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা ও গ্রুপিং হবে। কারণ প্রত্যেকের অধিকার আছে। দেশের জন্য এটা মোটেও সুখকর নয়। তিনি আরও বলেন, সরকারের এই ভালো উদ্যোগ নিয়মের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। বৈষম্য যাতে না হয় সেটা দেখতে হবে। চাকরি শেষ হওয়ার পরও বাসা না ছাড়ার অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।

ইস্কাটনে ভবনগুলোর অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও পিএসসির সদস্য ফয়েজ আহম্মদ বলেন, সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা সবাই একসঙ্গে বসবাস করলে স্বস্তি পাওয়া যেত। রাষ্ট্রীয় কাজে সুবিধা হতো। কিন্তু অনেক সচিব আগের বাসা ছেড়ে আসতে চান না। অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় থাকছেন। সচিবদের বাসার কোনো সংকট নেই। তাই কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাসাগুলো ফেলে রাখার চেয়ে তাদের বরাদ্দ দেওয়া ভালো। আর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিয়ম অনুযায়ীই বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন। এতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

সচিবের বাসায় অতিরিক্ত সচিব :সচিবদের জন্য নির্মিত ১১৪ ফ্ল্যাটের মধ্যে ৪৩ জন অতিরিক্ত সচিব ও ৩৩ জন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা বসবাস করছেন। অতিরিক্ত সচিবরা হলেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম, এখলাছুর রহমান ও জাহিদুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সেন ও শাহ্‌ মোহাম্মদ নাছিম, বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. এম মিজানুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবুল বাসার মো. আরশাদ হোসেন, এনবিআরের সদস্য ফয়জুর রহমান, শিশু একাডেমির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জ্যোতি লাল কুরী, বিআইএমের মহাপরিচালক তহমিনা আক্তার, রোড ট্রান্সপোর্ট হাইওয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু ছাইদ শেখ, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. শাহদাৎ হোসেন মাহমুদ, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) যাহিদা খানম, প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মীনা পারভীন, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক আমিনুল ইসলাম।

ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) যাহিদা খানম বলেন, সচিবদের নিজেদের বাড়ি আছে। তারা সেখানে থাকেন। সচিবদের বাসা বরাদ্দ নেওয়ার বিষয়ে এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, এগুলো সচিবদের জন্যই তৈরি হয়েছে- এটা আপনাকে কে বলেছে? একটু মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে তিনি বলেন, কীভাবে বাসা বরাদ্দ পেয়েছি তা জানতে হলে আবাসন পরিদপ্তরে যান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সেন বলেন, আমিও জানতাম, ইস্কাটনের ভবনগুলো সচিবদের জন্য। কিন্তু জুনিয়র অনেক কর্মকর্তা আমাকে বললেন, ইস্কাটনের সচিবদের ভবনে অতিরিক্ত সচিবদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। কারণ, যে সংখ্যক ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে সে সংখ্যক সচিব নেই। আবার অনেকেই সচিব ভবনে উঠছেন না। পরে আমি বাসার জন্য আবেদন করার পর বরাদ্দ পেয়েছি।

সূত্র: সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়