মো.ইউসুফ মিয়া: [২] উপজেলার জঙ্গল ও নারুয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহমান গড়াই নদীতে ভাঙ্গনে বেড়িবাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন অব্যহত রয়েছে।
[৩] নারুয়া-সমাধিনগর পাকা সড়কের পুষআমলা এলাকায়, নারুয়া ইউনিয়নের জামসাপুর ও মরাবিলা ও নারুয়া গ্রাম এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।
[৪] জানাগেছে, উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পুষআমলা, বিজয়নগর, হাবাসপুর, পোটরা, সমাধিনগরসহ কয়েকটি গ্রাম এলাকায় গড়াই নদীর পানি হ্রাস ও ভারি বর্ষণের ফলে ভাঙ্গন শুরু হয়। নদী ভাঙ্গনের ফলে বাড়ী-ঘর, ফসলী জমি, বেবিবাঁধ বিলিন হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে নারুয়া ইউনিয়নের মরাবিলা, জামসাপুর, নারুয়া এলাকায় গড়াই নদীতে অনুরুপ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।
[৫] উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের পুষআমলা গ্রামের বিষ্ণপদ ঘোষ, বিজয়নগরের নির্মলেন্দু মন্ডল, পোটরার বিকাশ বিশ্বাস বলেন, গড়াই নদীর পুষআমলা গ্রাম এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলানো হয়। মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানির চাপে গড়াই নদীর বেড়িবাঁধের ১শত ফুট নদীতে বিলিন হয়েছে।
[৫] এতে নারুয়া-সমাধিনগর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে পোটরা, হাবাসপুর, তারালিয়া, পাচপোটরা, আগপোটরা, পুষআমলাসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষের এখন চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
[৬] এ অঞ্চলটি কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় পন্য বিক্রির একমাত্র বাজার সমাধিনগর।
[৭] এ বাজারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বাজারে ফসল বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে এ এলাকার কৃষকদেরকে যানবাহন ব্যয় বেড়ে গেছে। হতে হচ্ছে ভোগান্তির শিকার।
[৮] অব্যাহত ভাঙ্গনের ফলে পুষআমলা, বিজয়নগর, আখপোটরা, পাচপোটরা, হাবাসপুর, তারালিয়া, বাঙ্গরদাহ, নারুয়া, সোনাকান্দর, জামসাপুর, কোনাগ্রাম, মরাবিলা এলাকায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি ও ঘরবাড়ী। নদীর অপরপাড়ে জেগে উঠা জমি হচ্ছে বেহাত। নিঃস্ব পরিবার গুলো অন্যত্র মাথা গোজার ঠাই নিয়ে অবস্থান করছে।
[৯] জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে গড়াই নদীর পানি বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল অংশের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলাও অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেই সাথে নদীগর্ভে বিলীন হবে শত শত মানুষের ঘরবাড়ী ও ফসলী জমি।
[১০] নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করলে পানি হ্রাস ও বৃদ্ধির সময় ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমরা এখনই ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :