সোহেল রহমান :[২] করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ-এপ্রিলে দেশে প্রচলিত ব্যাংকিং সাময়িক বন্ধ থাকার ওই সময় সব এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু ছিল। ফলে ওই সময় এজেন্ট ব্যাংকিং-এর গ্রাহক সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি এর ওপর মানুষের আস্থাও বেড়েছে।
[৩] বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, গত বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় নতুন গ্রাহক বেড়েছে ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৪২ জন। এর মধ্যে নারী গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৮ লাখ। আলোচ্য সময়ে আমানত বেড়েছে ৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৪১৩ কোটি টাকা।
[৪] ব্যাংকিং খাত সূত্রগুলো মতে, বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে চলে গেছে। আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও প্রবাসী আয় আনার পাশাপাশি স্কুল ব্যাংকিং চালু এবং গ্রামগঞ্জে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ করছেন এজেন্টরা। সব মিলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন এজেন্ট ব্যাংকাররা।
[৫] প্রসঙ্গত: ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে চালু হয়েছিল নতুন ধাঁচের এই ব্যাংকিং সেবা, যার নাম এজেন্ট ব্যাংকিং। বর্তমানে ২৪টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এবং দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজারে এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৬৩ জন। গত বছরের মার্চ শেষে এজেন্ট সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২৬০ জন। করোনাকালীন ছয় মাসে এজেন্ট বেড়েছে ১ হাজার ৯০৩ জন।
[৬] এজেন্ট বাড়ার পাশাপাশি আউটলেটও বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে আউটলেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৬টি, এটি মার্চে ছিল ১১ হাজার ৮৭৫টি। ছয় মাসে আউটলেট বেড়েছে ২ হাজার ১৪১টি।
[৭] এদিকে গত সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং-এ মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ লাখ ২১ হাজার ৮৯৩ জন। এর মধ্যে নারী হিসাবের সংখ্যা হচ্ছে ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার। অন্যদিকে মোট ৮২ লাখ হিসাবের মধ্যে গ্রামীণ হিসাব হচ্ছে ৭১ লাখ ১২ হাজার।
[৮] আর গত সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং-এ মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময় পর্যন্ত মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।