ডাঃ আরমান রহমান, ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড থেকে: ''ফাইজারের ভ্যাক্সিনের কারণে নরওয়েতে ২৩ জন মানুষ মারা গিযেছেন'' আসুন আমরা এই খবরের শুধুমাত্র হেডিং টা না পড়ে ভিতরে কি লিখেছে সেটা জানার চেষ্টা করি. এখানে বার্ধক্যঃ জনিত রোগে আক্ৰান্ত অত্যন্ত ভঙ্গুর সাস্থের ৮০ বছরের উপর বয়সের ২৩ জন মানুষের কথা বলা হয়েছে।
স্টেইনার ম্যাডসেন, নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সির ডাইরেক্টর সাহেব বলছেন ''ভ্যাক্সিন দেয়ার পরে যদিও এনাদের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু এই মৃত্যুর সাথে ভ্যাক্সিনের কোন যোগাযোগ আমরা এখনো পাইনি''. উল্লেখ্য নরওয়েতে প্রতি সপ্তাহে এই ধরণের কেয়ার হোমে ৪০০ মানুষ মৃত্যু বরন করে থাকে।
উনারা এই ধরণের বয়স্ক রোগীদের ভ্যাক্সিন দেয়ার ব্যাপারে আরো সতর্ককতা অবলম্বন করার জন্যে ডাক্তারদের আহবান জানিয়েছেন। এই ২৩ জনের ১৩ জনের উপর চালানো আপাত পরীক্ষায় দেখা যায়-ভ্যাক্সিনের সাধারন সাইডইফেক্ট যেমন জ্বর, বমির ভাব এবং ডায়রিয়া এনাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে,
সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এইসব পার্শপ্রতিক্রিয়া তেমন প্রভাব না ফেললেও এই বয়ষ্ক এবং অসুস্থ মানুষদের তা সহ্য করে নেয়ার ক্ষমতা নাও থাকতে পারে। হয়ত এই সমস্ত পার্শপ্রতিক্রিয়া তাদের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
ম্যাডসেন সাহেব বলেছেন উনারা এই মৃত্য নিয়ে আতংকিত নয়, কারণ এই সব মানুষ আগে থেকেই গুরুতর রোগে ভুগছিলেন, কাজেই এই মৃত্য তাদের ভ্যাক্সিন কার্যক্রম কে কোনভাবেই প্রভাবিত করবে না.
আশা করি ভ্যাক্সিনের খবর প্রচারে সংবাদ মাধ্যম আরো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে এবং সাধারণ মানুষ ও শুধুমাত্র শিরোনাম দেখেই যে কোন ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে বানোয়াট স্ট্যাটাস সোশ্যাল মাধ্যমে প্রচার করা থেকে বিরত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :