ডেস্ক রিপোর্ট: দুই বছর পূর্বে টুয়াখালীর গলাচিপার দক্ষিণ পানপট্টি ১০ শয্যা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রটিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, রোগী, চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবন। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, একজন পাহারাদার ও ঝাড়ুদার দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। নির্মাণের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর মধ্যেও নিয়োগ দেয়নি প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ানসহ লোকবল ও চিকিত্সাসামগ্রী। ইত্তেফাক
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে শেষ হয়। স্থানীয় সমাজসেবক ও মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বাবুল জানান, গলাচিপা উপজেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র দুই বছর আগে ভবনসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ হলেও নেই চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয়সংখ্যক জনবল। চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করেছে। কিন্তু সরকারের সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। গরিব সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা থেকে। প্রসূতিদের যেতে হয় জেলা সদর পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যা সাধারণ গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে বর্তমানে কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ফেরদৌসী বেগম জানান, এখানে কমসংখ্যক লোকজন থাকায় অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অবশ্য একজন নৈশপ্রহরী ও সুইপার এখানে কর্মরত রয়েছেন। গলাচিপা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী একজন মেডিক্যাল অফিসার, টেকনিশিয়ান, সেবিকা নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দপ্তরের। কি কারণে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না তা জানা নেই।
তিনি আরো জানান, ঐ মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :