রাজু চৌধুরী : [২] চসিক মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নৌকার বিজয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে ।

[৩] শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভা দারুল ফজল মার্কেটস্থ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

[৪] সভায় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বীর প্রসবিনী চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থী হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়ে জাতির জনকের কন্যা চট্টগ্রামের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মকে সম্মানিত করেছেন। নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে এ সম্মানকে সমুন্নত করতে হবে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নৌকার বিজয়ে অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে।

[৫] চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা লাল-সবুজ পতাকা পেয়েছি। তাই মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রেজাউলকে বিজয়ী করতে হবে।

[৬] মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বলেন, ‘নৌকা মার্কা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতীক। নৌকা মার্কাই বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে শিখিয়েছে।’ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিমকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।

[৭] মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের অহংকার।স্বাধীনতার শত্রুদের সাথে যাদের আঁতাত গণরায়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। দেশ মাতৃকার প্রতি ভালবাসা, দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা থেকে মরণ পণ যুদ্ধে হানাদারের বিরুদ্ধে লড়েছি। গণ অধিকারের আন্দোলনে সবসময় নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছি। আজকে দাপ্তরিক ভাবে চট্টগ্রামের গণমানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছি।

[৮] স্বাধীনতার শক্তি আমার এই ভোট যুদ্ধের মূল প্রেরণা ও শক্তি। এই শক্তিতে আগামী ২৭ তারিখের নির্বাচনী যুদ্ধে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের সম্মান রাখতে চাই। সকলের ভোট, দোয়া সমর্থন আদায়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করলে সিটি নির্বাচনের বিজয়কে মুজিব শতবর্ষ, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও জননেত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রার যুগপূর্তির মহা আনন্দের সাথে যুক্ত করতে সক্ষম হব ইন্শাল্লাহ্।