লিহান লিমা: [২] শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় ভারতের তিন হাজার ছয়টি কেন্দ্রে টিকাকরণ কর্মসূচী চালু হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যৗল্প প্রায় ১০০ জন মানুষকে টিকা দেয়া হবে। ৭০০ জেলায় দেড় লাখ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী এই টিকাদান কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন। দ্য হিন্দু/হিন্দুস্তান টাইমস
[৩]ভিডিও কনফারেন্সে কর্মসূচীর উদ্বোধন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘একটা ভ্যাকসিন তৈরি করতে বছর লেগে যায়। সেখানে ভারত এতো কম সময়ে দুইটি নিজস্ব টিকা উৎপাদন করেছে। এটাই ভারতের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সামর্থ্য। তাদের পরিশ্রমেই এই সাফল্য এসেছে।’ মোদী স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, তারা অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন, ত্যাগ করেছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দিয়ে দেশ আজ তার ঋণ পূরণ করবে।’ এই সময় মোদী টিকা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরুত্বের বিধি-নিষেধ মেনে চলারও আহŸান জানান।
[৪]প্রথম দফায় ভারত তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারীর কর্মীদের টিকা দিচ্ছে। তারপরের ধাপে পঞ্চাশার্ধো বা গুরুতর রোগে ২৭ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে ।
[৫]সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের এই টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করছে দেশটির সরকার। বর্তমানে ভারতের হাতে সেরামের এক কোটি ১০ লাখ ডোজ এবং বায়োটেকের ৫৫ লাখ ডোজ টিকা আছে।
[৬]এরইমধ্যে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে টিকা পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। টিকা নিয়ে গুজব নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি কেন্দ্রে ‘রিউমার রেজিস্টার’রাখা হচ্ছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়টি দেখার জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক থাকবেন। এছাড়া কত টিকা মজুদ রয়েছে, কাদের টিকা দেয়া হয়েছে এই সবকিছু ট্র্যাক করার জন্য কো-উইন অ্যাপ চালু করা হয়েছে। টিকাকরণ সম্পর্কে জানতে চালু করা হয়েছে জরুরি নাম্বার।
[৭] ভারতের ১০০ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে আগামী ৬-৮ মাসে অন্তত ৩০ কোটি নাগরিককে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এই কর্মসূচিকে ‘করোনাভাইরাস নির্মূলের সূচনা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
[৮] করোনায় বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণের সংখ্য এক কোটি ৫ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় দেড় লাখ মানুষের।