শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩২ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] চিরিরবন্দরে ৫’শ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ

সোহাগ গাজী: [২] দেশের সর্বাধিক রসুন উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবারো কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুনের আবাদ করেছেন। বিগত বছরগুলোতে চাষীরা নিজেদের উদ্ভাবিত বিনা হালে রসুন চাষ পদ্ধতিতে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় এবং উৎপাদিত রসুনের ভালো দাম পাওয়ায় এ মৌসুমেও তারা রসুন চাষে ঝুঁকেছেন। সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবং অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবার উপজেলায় রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

[৩] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসূমে চিরিরবন্দর উপজেলায় ৪’শ ৫৭ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষাবাদ হয়েছে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারে রসুনে ব্যাপক লাভবান হবে কৃষক এমনটায় আশা করছে কৃষি বিভাগ।

[৪] চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা, বিন্যাকুড়ি, নশরতপুর,ফতেজংপুর, সাইতাড়া,আলোকডিহি তেতুঁলিয়া ও ভিয়েল গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভালো দাম পাওয়ায় এ বছরও এ এলাকার কৃষকরা ব্যাপকহারে রসুন আবাদ করেছেন। এবার রসুন বীজের অঙ্কুরোদগমও ভালো হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় এবং প্রয়োজনীয় সেচ ও সার পাওয়ায় রসুনের চারা এখন দ্রæত গতিতে বেড়ে চলেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে এমন আশা করছেন তারা। আর তাই রসুন চাষীরা সকাল-সন্ধ্যা দিনমজুর ও স্ত্রী-পুত্রদের সাথে নিয়ে রসুনের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

[৫] উপজেলার সাতনালা গ্রামের রসুন চাষী জাকির হোসেন ও আলোকডিহি গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে রসুন চাষে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক লাগছে। তাদের শ্রমমূল্য ও খাবার খরচ বাবদ খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। এছাড়া বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ দিতে আরও প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ পড়ছে। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মণ রসুন পাওয়া যাবে। মৌসুমের শুরুতে দাম কিছুটা কম হলেও পরবর্তীতে প্রতিমণ রসুন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। এতে বিঘা প্রতি সব খরচ বাদে ৬০ হাজার টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছেন তারা।

[৬] উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, বর্তমানে চিরিরবন্দর কৃষকদের কাছে রসুন প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে । এছাড়া এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। তাই এবার রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়