সালেহ্ বিপ্লব: [২] এই জমি এখন বিএডিসির সেচ প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এতে উপকৃত হবেন তিন হাজারের বেশি কৃষক।
[৩] দখলদাররা খালের বিভিন্ন স্থানে ভরাট করে ঘরবাড়ি তুলেছে, কোথাও কোথাও মাছের ঘের বানিয়েছে। ফলে একদিকে সেচ বাধাগ্রস্ত হয়ে হাজার হাজার একর জমির উর্বরতা কমেছে। অন্যদিকে কিছু এলাকায় দীর্ঘমেয়াদী জলাবদ্ধতার কারণে ফসলী জমিতে আবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। কুমিল্লাপেপারডটকম
[৪] কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খালের তলদেশ পলি জমে উঁচু হয়ে যাওয়ায় নদী থেকে নলুয়া খালে পানি প্রবেশ করতে পারতো না। প্রতি বছর খাল সংস্কারের চেষ্টা করলেও বোরো মৌসুমে সেচের পানি আসছিলো না। এতে দুই হাজার একর জমির প্রায় পুরোটাই অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকতো। বাসস
[৫] নলুয়া খালের দুই পাড়ে কিছু কিছু অগভীর নলকূপ এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে অল্প কিছু জমিতে সেচ দেওয়া হতো। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে খাল একেবারেই পানি শূন্য হয়ে পড়তো। এতে লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়নের চন্দনা, রামপুর, মনপাল, রাজাপুর ও তপইয়া গ্রামের কৃষকরা বেকায়দায় পড়তে হতো। এ খালটির তপৈয়ার সংযোগ খাল মনপাল দীঘির উত্তরপাড়ের খাল পুরোটাই ভরাট হয়ে গিয়েছিলো।
[৬] মনপাল গ্রামের কৃষক সহিদ উল্লাহ জানান, বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। আমন ফসলও হয় না। খাল খনন করায় মানুষ উপকৃত হবে।
[৭] উত্তরদা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রিপন চন্দ দত্ত বলেন, খালটি ভরাটের কারণে এ এলাকায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হতো। এবার কৃষকরা লাভবান হবে।
[৮]বিএডিসি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী (সেচ) মো. মিজানুর রহমান বলেন, লাকসামের বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন স্থানে খাল ভরাট হয়ে গেছে। নলুয়ার খালটি খনন শুরু হয়েছে। আশা করছি চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা উপকৃত হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :