সুজিৎ নন্দী: [২] প্রতিমাসে ৩ থেকে ৫শ’ ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে । প্রায় ৬ হাজার রেডি ফ্ল্যাটের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ও দুই শতাধিক প্লট বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত তিনমাসে এক হাজার ফ্ল্যাট ও শতাধিক প্লট হস্তান্তর হয়েছে।
[৩] স্থগিত প্রায় দুই শতাধিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু প্লট ও ফ্ল্যাট মূল্য কমেনি। ক্ষেত্র বিশেষে মূল্য বেড়েছে। রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সূত্রে এতথ্য জানা যায়।
[৪] রিহ্যাব সভাপতি ও শামসুল আলামিন রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, এই শিল্পের গতি ফিরে আসছে। সরকার ইতোমধ্যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে গৃহায়ণ শিল্প সমৃদ্ধ হবে। লিংকেজ খাত হিসেবে ইট, সিমেন্ট, এলুমিনিয়াম, বৈদুত্যিক সামগ্রী, সিরামিক, টাইলস্, কাঠসহ অনেক খাত গড়ে উঠেছে।
[৫] তিনি আরো বলেন, বর্তমানে করোনার সময়ও আমরা প্রবাসীদের আকৃষ্ট করে অতীতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসতে পারছি। ভবিষ্যতে সরকার যদি পদক্ষেপ নেয় তাহলে অতীতের চেয়েও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জণ করতে সক্ষম হবো।
[৬] রিহ্যাবের একাধিক সদস্য জানান, নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের পরিমান কিছুটা কমালে আবাসনখাত দ্রুত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে। পাঁচ শতাধিক চলমান প্রকল্প বন্ধ ছিলো যেটা চালু হয়েছে। হাউজিং ব্যবসা বড় ধরনের ধ্বস নেমেছিলো। কিন্তু আস্তে আস্তে ভাবমূর্তি ফিরে আসছে। ইতোপূর্বে যে মালিকরা আবাসন ব্যবসা ত্যাগ করেছিলো তারা আবাসন ব্যবসায় মনোযোগী হচ্ছে।
[৭] রিহ্যাব অফিস সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে রিহ্যাবের সদস্য সংখ্যা ছিলো ১২শ’। মাঝে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান সদস্যপদ প্রত্যাহার করে করে নিলেও পুনরায় সদস্যপদ ধরে রাখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :