মীরণ রায়: [২] ভারতের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি দামে ভ্যাকসিন কেনা হচ্ছে, এর ফলে বাজেটে কী প্রভাব পড়বে- এমন প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘আমি জানিনা, দাম বেশি হয়েছে কি-না। ইন্ডিয়া যদি তৈরি করে তাহলে তাদের কস্ট অব প্রোডাকশন তো কম হবেই। তারা যখন বিক্রি করবে ডেফিনেটলি সেলস প্রাইসটা তাদের খরচ, প্রফিট এই দুইটাকে একত্র করে তারা এই কাজটি করবে। তাদের যে খরচ হবে সেই দামে আমরা পাবো, তাদের দেশে যদি তৈরি করা হয় এটা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। তবে দেখব আন্তর্জাতিক বাজারে কতো ভ্যাকসিনের দাম এবং আমরা কতো দামে পাচ্ছি। সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব। কারণ এক দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করবে না, অনেক দেশ তৈরি করবে।
[৩] তিনি বলেন, সবাই অপেক্ষা করে আছে কবে ভ্যাকসিনের কাজটা শুরু করব। কবে ভ্যাকসিন সবাইকে দেয়া শেষ করতে পারব। ভ্যাকসিন আনা কঠিন কাজ নয়। ভ্যাকসিন দেয়াটা কঠিন কাজ। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা খুব জটিল কাজ। তবে আমরা সফল হবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে এগুবো।
[৪] অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা হলো, যারা খরচ বহন করতে পারবেন না তাদেরটা তিনি দেখবেন। এটা একদিনে হবে না। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে একদিনে এটি
দেয়া যাবে না। সেজন্য ডেফিনেটলি কিছু ধাপ থাকবে। প্রথম ধাপে কারা পাবেন, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবেন, তৃতীয় ধাপে কারা পাবেন, এভাবে শনাক্ত করে ভ্যাকসিন দিতে হবে। আশা করি দেশের ১৭ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পারবো।
[৫] বুধবার অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :