মুশফিক ওয়াদুদ : দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনাটি আসলে বিএনপি-জামায়াতের ছিলো ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত। বিরোধী দল আওয়ামী লীগের তখন শোচনীয় অবস্থা। ২২ জানুয়ারি নির্বাচনটি সফল হলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার সেই পরিকল্পনা অনেক দূর এগিয়ে যেতো। কিন্তু তা সফল হয়নি। সেই একই ধরনের পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ সফল হয়। অনেকেই ধারণা করছিলেন ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দল বিহীন একটি র্নিাচন করেছিলো তা বিএনপি জামায়াতের মতো সফল হবে না। কিন্তু অনেককেই ভুল প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ সফল হয়েছে। শুধু ৫ বছরই পূরণ করেনি সঙ্গে অন্য একটি র্নিাচনেরও অর্ধেক সময় পার করেছে।
বিএনপি-জামায়াত সফল হতে না পারলেও আওয়ামী লীগ কীভাবে সফল হলো? আমি মনে করি এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেই বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক টা বোঝা সম্ভব হবে। অনেক কারণ থাকতে পারে কিন্তু আমার মনে হয় চারটি বিষয় গুরুত্বর্পূ ভূমিকা পালন করেছে।
[১] আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষ করে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক। ২০০৭ এর সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং একই সঙ্গে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইসলামি দল গুলো ক্ষমতার অংশীদার এবং চীনের প্রবল প্রভাব আছে এমন একটি সরকার কে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের দীর্ঘ মেয়াদে মেনে নেয়া কঠিন ছিলো।
[২] মিডিয়ার ভূমিকা। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বেশিরভাগ মিডিয়ার এক ধরণের নিরব সমর্থন পেয়েছে। ২০০৭ এ বিএনপি জামায়াতের ক্ষেত্রে সেটা হয়নি।
[৩] শহুরে মধ্যবিত্ত অথবা তথাকথিত সুশীল সমাজের ভূমিকা। মাহমুদুর রহমানের সিপিডি এবং সুশীল সমাজের অন্যান্য প্রতিনিধীদের বিরুদ্ধে করা মামলা এবং ইসলামী দলগুলোর অংশিদারিত্বের জন্য ‘সুশীল’ সমাজ বিএনপি জামায়াতকে দীর্ঘ মেয়াদে চায়নি। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে তারা অনেকটা নিরব ছিলো।
[৪] মাঠ প্রশাসন বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। নিজেদের সাজানো প্রশাসনই তাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকেনি। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :