শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:৩৬ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসান মোর্শেদ : ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪, মাস্টার দা সূর্য সেনের ফাঁসি কার্যকর হয়

হাসান মোর্শেদ : ১২ জানুয়ারি ১৯৩৪, মাস্টার দা সূর্য সেনের ফাঁসি কার্যকর হয়। তাদের বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র যুদ্ধ সংগঠিত হয় ১৯৩০ সালে। আমার একটা কৌতুহল আছে। সূর্যসেন ও তার টিমের অপারেশন নিয়ে যাদের পড়াশুনা আছে, খেয়াল করবেন প্লিজ। গত একবছর ধরে আমি একটা সুনির্দিষ্ট বিষয় ও সময় নিয়ে পড়ার, বুঝার, তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। ১৯০০ থেকে ১৯৩০। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বললে ১৯০৫ থেকে ১৯২২। এসময়ের মধ্যে বৃটিশ ভারতে বাংলা, পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্রের বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র তৎপরতা চলে। আমরা কিছু নাম তো জানিই- ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, বাঘা যতীন এরকম। আমি পড়তে গিয়ে জানলাম এসব আসলে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম ছিলো না। পুরো অপারেশন পরিচালিত হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায় থাকা প্রবাসীদের উদ্যোগে। তাদের প্রবল যোগাযোগ ছিলো সে সময়ের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নানা গেরিলা দলের সঙ্গে- আইরিশ বিপ্লবী, রুশ এনার্কিস্ট, আরব( মুলতঃ ইজিপশিয়ান) গেরিলাদের সঙ্গে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তারা সরাসরি অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষন সুবিধা পেয়েছেন জার্মানির থেকে। এটা সমন্বয় করেছেন বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যয়।

এসময় এখানে অপারেশনাল কমান্ডার ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখার্জি- যিনি বাঘা যতীন নামে পরিচিত। তারা ছিলেন ১৯০৫ এর দিকে গড়ে উঠা অনুশীলন ও যুগান্তর সমিতির সদস্য। বীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যয়( চট্টোর) উদ্যোগে জার্মান জাহাজ ভর্তি অস্ত্র আসার কথা আমেরিকা থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে খুলনার রায়মঙ্গল ও উড়িষ্যার বালাশোরে। অস্ত্র হাতে এলেই কলকাতা থেকে যুদ্ধ শুরু হবে, ফোর্ট উইলিয়ামে ও ঢাকায় অবস্থানরত ভারতীয় সেনারা বিদ্রোহ করবে। এই জাহাজের খোঁজেই বাঘা যতীনের ডান হাত এম এন রায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে ঘটনাচক্রে আমেরিকা ও মেক্সিকো যান এবং কমিউনিষ্ট হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে পৌঁছান। সে দীর্ঘ গল্প। অস্ত্র ভর্তি জাহাজ শেষ পর্যন্ত আর জায়গা মতো আসতে পারেনি। বালাশোরে অপেক্ষারত বাঘা যতীন বৃটিশ আর্মির সাঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন ১৯১৫ সালেই।
এই উদ্যোগ ব্যর্থ হবার পর চট্টগ্রামের হাতিয়ায় আরেক অস্ত্র ভর্তি জার্মান জাহাজ আসার পরিকল্পনা হয়। হাতিয়া থেকে নৌকায় করে অস্ত্র আসবে চট্টগ্রাম শহরে, চট্টগ্রাম স্বাধীন করা হবে। এই উদ্যোগ ও ১৯১৬/১৭ সালে। বিশ্বযুদ্ধের গতি প্রকৃতি বদলে যাওয়ায় সে উদ্যোগ ও সফল হয়নি। ভারতকে বৃটিশ শাসন থেকে মুক্ত করার বহুমুখী আন্তর্জাতিক সশস্ত্র উদ্যোগ শেষ হয়ে যায় ১৯২২ সালেই। এরপর কয়েক বছর সুইডেনে থেকে চট্টো বৃটিশ বিরোধী প্রপাগান্ডা যুদ্ধ চালান। এবার প্রশ্ন হলো- এই উদ্যোগ থেমে যাবার ৮ বছর পর সূর্যসেন নতুন অপারেশন করলেন? এটা কি তার একক চিন্তার ফসল? নাকি কোনো আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ছিলো? ১৯৩০ এ না হয়ে ১৯২০ এ হলে হিসাব মিলানো যেতো সহজেই। এ সময়ে চট্টগ্রামে অস্ত্র সরবরাহের চেষ্টা করা হয়েছে, এ সময় চট্টগ্রামে বিপ্লবী ইউনিট ছিলো। কিন্ত ১৯৩০ এর কোন সংযোগ পাই না। পাইনি এখনো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়