শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৭ সকাল
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপির মেয়ররা বরাদ্দে পিছিয়ে

ডেস্ক রিপোর্ট: বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা ‘গ’ শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত পৌরসভা। এখানকার মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তৌহিদুর রহমান। গত পাঁচ বছরে প্রায় ৩৪ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে এখানে। বিপরীতে জেলার সবচেয়ে বড় ও জনবহুল ‘ক’ শ্রেণির বগুড়া পৌরসভায় একই সময়ে সরকারি বরাদ্দ মিলেছে ১০ কোটি ৫ লাখ টাকা। পৌরসভাটির মেয়র বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ কে এম মাহবুবুর রহমান।

শুধু বগুড়া পৌরসভা নয়, সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ, বিশেষ করে প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারদলীয় মেয়রদের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে দেশের ৩০টি পৌরসভার বিএনপির মেয়ররা। তাঁরা বলছেন, প্রকল্পের বরাদ্দ পেতে অনেক চেষ্টা-তদবির করতে হয়। তদবিরে সরকারদলীয় মেয়ররা এগিয়ে থাকেন। বিএনপির মেয়র হিসেবে বরাদ্দ কম পাওয়ায় তাঁদের পৌরসভার বাসিন্দারা নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অধীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সব পৌরসভাই সমান বরাদ্দ পায়। পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার অর্থায়নে পৌর এলাকায় বেশ কিছু প্রকল্প পরিচালিত হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রতিবছর থোক বরাদ্দের মাধ্যমে এসব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করে। বিএনপির মেয়ররা বলছেন, সরকারসমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা সহজে এসব প্রকল্পে বরাদ্দ পেলেও বিএনপিসমর্থিত জনপ্রতিনিধিদের জন্য তা বেশ কঠিন। স্থানীয় সাংসদ বা মন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলে কিছু ক্ষেত্রে বরাদ্দ পাওয়া যায়, খারাপ হলে তা–ও মেলে না।

২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব পৌরসভায় প্রথমবারের মতো হয় দলভিত্তিক নির্বাচন। বাকিগুলোতে নির্বাচন হয় এর আগে-পরে। হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের শেষ দিকে ২৩৫টি পৌরসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তাই ধাপে ধাপে নির্বাচন শুরু হয়েছে পৌরসভাগুলোতে।

প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তাতে রাজশাহীর পুঠিয়া ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে দিনাজপুর সদর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ, নীলফামারীর সৈয়দপুর, বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভায় বিএনপির মেয়র রয়েছেন। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়ও বিএনপির মেয়র ছিলেন। তবে গত বছর তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপির পৌর মেয়ররা মনে করছেন, অর্থ বরাদ্দে পিছিয়ে থাকায় অনেক ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী নাগরিক সেবা দিতে পারেননি তাঁরা। এটি নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণ হিসেবে পঞ্চগড় সদর পৌরসভার কথা বলা যায়। সেখানে বিএনপির মেয়র ছিলেন। এবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত এ পৌরসভার নির্বাচনে হেরেছেন তিনি।

দেশে বর্তমানে ৩২৮ পৌরসভার মধ্যে তিনটি শ্রেণি রয়েছে। ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণি। শ্রেণি অনুযায়ী পৌরসভাগুলোর বরাদ্দ পাওয়ার কথা। বাস্তবে দেখা যায়, বিএনপির মেয়র থাকা ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভার চেয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র থাকা ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভা বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ না বিএনপির মেয়র, সেটি বিষয় না। এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিএনপির মেয়ররা হয়তো সেভাবে প্রকল্প জমা দেন না। এলাকার মন্ত্রী, সাংসদের সুপারিশে কোনো বিশেষ প্রকল্প না পেয়ে থাকলে সেটি ওই পৌর মেয়রের দুর্ভাগ্য।’

প্রকল্পের বরাদ্দেই আসল ব্যবধান

দেশের পৌরসভাগুলোর রাজস্ব আয় অনেক কম। ফলে পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার পর উন্নয়নকাজ করার মতো অর্থ অধিকাংশ পৌরসভারই থাকে না। তাই পৌরসভাগুলো উন্নয়নকাজের জন্য এডিপি ও প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দের ওপর নির্ভরশীল। এ ধরনের বরাদ্দ কম এলে নাগরিক সেবা পাওয়া থেকে স্থানীয় জনগণকে বঞ্চিত হতে হয়।

গত পাঁচ বছরে বগুড়া পৌরসভায় সরকারি বরাদ্দের মধ্যে ৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে এডিপি থেকে। দুর্যোগ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত তহবিল এবং গুরুত্বপূর্ণ শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে এসেছে বাকি টাকা। বিপরীতে শিবগঞ্জ পৌরসভায় শুধু ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বরাদ্দ এসেছে ২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বগুড়া পৌরসভায় প্রায় ২০ লাখ লোকের বসবাস। কিন্তু ন্যূনতম নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত পৌরবাসী। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী অধিকাংশ সড়ক। সড়কে জ্বলে না বাতিও। পৌরসভার সরবরাহ করা পানিতে দুর্গন্ধ। পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলা হয় মহাসড়কের পাশে। পৌরসভার প্রকৌশল শাখার হিসাবে, শুধু ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট সংস্কারে ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজন।

বগুড়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান বলেন, আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এ পৌরসভা উন্নয়ন বরাদ্দে সরকারের রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার। পাঁচ বছরে এ পৌরসভায় কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ মেলেনি। অথচ অপেক্ষাকৃত ছোট ও তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভায় রাজনৈতিক বিবেচনায় বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করার কারণেই উন্নয়ন বরাদ্দে বৈষম্য করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভা। এ পৌরসভার বর্তমান মেয়র খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমান মেয়রের আমলে চার অর্থবছরে (২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত) মোট ৭ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে এডিপির ৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন প্রকল্পে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ পৌরসভার পাশের মানিকগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র গাজী কামরুল হুদা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে জেলা কমিটির সদস্য তিনি। ‘ক’ শ্রেণির এ পৌরসভায় গত চার অর্থবছরে মোট ৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে।

সিঙ্গাইর পৌরবাসীর অভিযোগ, বিএনপির মেয়র থাকায় এ পৌরসভায় আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। নাগরিক সেবার মানও পাশের ওই পৌরসভার চেয়ে কম। দেড় যুগের বেশি সময় সিঙ্গাইর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলেও তিন ভাগের দুই ভাগ সড়ক এখনো কাঁচা। ময়লা ফেলার কোনো ভাগাড় না থাকায় সড়কের পাশেই তা ফেলা হয়।

সিঙ্গাইর পৌরসভার মেয়র খোরশেদ আলম বলেন, বিরোধী দলের মেয়র হওয়ায় কিছু সীমাবদ্ধতা থাকেই। উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ সেভাবে আসেনি। যা বরাদ্দ পাওয়া গেছে, তা দিয়ে যতটা সম্ভব কাজ করার চেষ্টা করা হয়েছে।

রাজশাহীর তানোর ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভায় বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়র রয়েছেন। বর্তমান মেয়রের আমলে তানোর পৌরসভায় এডিপি থেকে বরাদ্দ এসেছে ৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর বিশেষ বরাদ্দ ৩৬ লাখ টাকা। সড়কবাতির ১ কোটি টাকার একটি বরাদ্দের তালিকায় এ পৌরসভার নাম থাকলেও এখনো টাকা পাওয়া যায়নি। পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক কারণে উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তিনি নগর উন্নয়ন নামের একটি প্রকল্পের ৪ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করেছেন। কিন্তু বরাদ্দ পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। তিনি তেমন কিছু উন্নয়নকাজ করতে পারেননি। বরং হয়রানিমূলক মামলায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বর্তমান মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর মেয়াদকালে পৌরসভায় দুটি প্রকল্পে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কশিরুল আলম এ প্রকল্পে বরাদ্দ পেয়েছেন ২৬ কোটি টাকা।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ৪৯ কিলোমিটার পাকা ও ২২ কিলোমিটার ইটের তৈরি সড়ক রয়েছে। পাকা ও ইট বিছানো সড়কের মধ্যে ৩৫ কিলোমিটারই খানাখন্দে ভরা। পৌর এলাকার ৭৮ কিলোমিটার নর্দমার ৫০ কিলোমিটারই কাঁচা। পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন বলেন, শুধু বিএনপির মেয়র হওয়ায় ঠাকুরগাঁও পৌরবাসীকে বঞ্চিত হতে হয়েছে।

‘ক’ শ্রেণির নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তাঁর চলতি মেয়াদে (২০১৫-২০২০) প্রকল্প বরাদ্দ এসেছে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু নওগাঁর নজিপুর পৌরসভা আয়তন ও জনসংখ্যায় এ পৌরসভার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। নজিপুর পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবির চৌধুরী। ‘খ’ শ্রেণির হলেও এ পৌরসভায় বিশেষ বরাদ্দ এসেছে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

নজমুল হকের সময়ে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়ক বছরের পর বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা হলেও অনেক এলাকায় এখনো পৌরসভার পানির সংযোগ নেই। বর্ধিত পৌরসভার অধিকাংশ ইট বিছানো সড়ক চলাচলের অযোগ্য। এ বিষয়ে নজমুল হক বলেন, বরাদ্দ না পাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়নকাজ করতে পারেননি তিনি।

মেয়র বরখাস্ত হতেই বেড়েছে বরাদ্দ

২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব নেন বিএনপি নেতা ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আক্তারুল ইসলাম। মামলা ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁর সময়কালে তিন অর্থবছরে তিনি ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পান।

আক্তারুল বরখাস্ত হওয়ার পর মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান। গত দুই অর্থবছরে তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এডিপির নির্ধারিত বরাদ্দের বাইরে প্রকল্পের বরাদ্দও পেয়েছেন তিনি। তবে এ বরাদ্দ সড়ক, শিশুপার্ক, কবরস্থান সংস্কারে ব৵য় হলেও পৌর এলাকায় উন্নয়ন দৃশ্যমান নয়।

অর্থ বরাদ্দে এমন বৈষম্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে সম্পদের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। তদবিরের জোরে কেউ বরাদ্দ বেশি পাচ্ছেন, কেউ বঞ্চিত হচ্ছেন। কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ সেটা দেখার বিষয় নয়। কাউকে খাতির না করে উন্নয়ন বরাদ্দের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য পৌরসভার আয়, জনসংখ্যা, সম্পদ ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব নীতিমালা থাকা উচিত।

সূত্র : প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়