দেবদুলাল মুন্না: [২] মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, নারীর শরীর প্রাকৃতিক নিয়মে মাসে একবার নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুমতি হয়, এটি প্রকৃতির নিয়মে সংঘটিত একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। নারীর ঋতুমতি হওয়া যদি বন্ধ হয়ে যায় তবে মানুষের জন্ম হবে না এবং মানব জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই ঋতুমতির নির্দিষ্ট সময়ে নারী ঘরে ও বাইরের সকল কাজ করেন। পারিবারিক, সামাজিক, দাপ্তরিক, রাষ্ট্রীয় এবং উৎপাদন পদ্ধতিতে সর্বাংশে অংশগ্রহণ ও সকল দায়িত্ব সুচারু রূপে পালন করেন। তাহলে কাজী নিয়োগে বাধা কোথায় আমি জানি না।
[৩] তিনি বলেন, সিংহভাগ বিয়ে বাসায়, বিয়ে-অনুষ্ঠানস্থলে ও কাজী অফিসে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ফলে এমন রায় কার্যত নারী অধিকারকে সংকুচিত করেছে।
[৪] গত রোববার বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন না মর্মে হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছে।
[৫] আদালতের দেওয়া এই রায়ের প্রতিবাদ করেছেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, শামসুজ্জামান খান, ফেরদৌসী মজুমদার, সারওয়ার আলী, আবদুস সেলিম, সেলিনা হোসেন, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, মুনতাসীর মামুন, শফি আহমেদ, শাহরিয়ার কবীর, সারা যাকের, শিমূল ইউসুফ প্রমুখ। তারাও বিজ্ঞ উচ্চ আদালতকে এ রায় পুনর্বিবেচনা করে সংবিধান প্রদত্ত নারী-পুরুষ সম অধিকারের ভিত্তিতে রায় প্রদানের অনুরোধ জানান।