রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাস দাবি করে উইগুর নারীদের সন্তান জন্মদানের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এধরনের মন্তব্যকে অমানবিক আচরণ অভিহিত করে টুইটার কর্তৃপক্ষ চীনা দূতাবাসের টুইট এ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে। জেরুজালেম পোস্ট
[৩] উইগুর নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করতে চীনা কর্তৃপক্ষের কর্মসূচি সম্পর্কে টুইটারে সহস্রাধিক মানুষ অভিযোগ তুলেছেন। তারপর গত শনিবার এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের চীনা দূতাবাস এধরনের বক্তব্য দেয়।
[৪] টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পর্যালোচনার পর দেখা গেছে চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্ম, বর্ণ বা বর্ণের ভিত্তিতে এধরনের অমানবিক নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নিয়েছে যা আমাদের নীতিমালার বরখেলাপ।
[৫] চীনা দূতাবাস পরে টুইটে দেয়া বিবৃতি মুছে ফেলে যেখানে বলা হয়েছিল চরমপন্থা নির্মূলের অংশ হিসেবে উইগুর নারীদের লৈঙ্গিক সাম্যতা বজায় রাখতে ও তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নতির জন্যে ঘন ঘন সন্তান জন্ম দেয়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে যা তাদের আরো আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
[৬] সন্তান ধারণের অধিকার থেকে শুরু করে উইগুর নাগরিকদের ব্যক্তিজীবনেও হস্তক্ষেপ করছে চীনা প্রশাসন।
উইগুর মুসলিম নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। বন্ধ্যাত্বকরণেও বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু উইগুরদেরই নয়, কাজাখ ও তিব্বেতিয়ানদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে। অবাধে চলছে জনতাত্ত্বিক গণহত্যা।
আপনার মতামত লিখুন :