রাশিদুল ইসলাম : ইনিয়ে বিনিয়ে যুক্তিতর্ক ও বিতর্কের মারপ্যাঁচে আমরা পুরুষতন্ত্র ফলাতে এমন বক্তব্য দেই যা আরো নারীকে আরো নির্যাতনের সুযোগ করে দেয়। পারলে আমাদের উচিত ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করা। এমনকি তার পরিবারকেও। তাদের সঙ্গে লেনদেন, বিয়ে বা সামাজিক সম্পর্ক না করার ঘোষণা দেন পাড়ায়, মহল্লায়, অলিতে, গলিতে, গ্রামে, গঞ্জে, হাটবাজারে। যদি সমাজে ধর্ষক ও ধর্ষক পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে একাট্টাভাবে দাঁড়ানো যায় তাহলে তাদের জন্যে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। তারা স্বস্তিতে থাকতে পারবে না। কারণ তাদের নির্যাতনের পর কোনো নারী সারাজীবন স্বস্তি ফিরে পায় না।
তাই ধর্ষকদের বিচ্ছিন্নভাবে এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাব নিয়ে বয়কটের প্রস্তুতিপর্ব শুরু করতে হবে। তাকে সামাজিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সাথে জড়িত করার আগে সমাজের সম্মিলিত প্রত্যাখানের কথা সোজা জানিয়ে দিতে হবে। ধর্ষকদের ছবি জনসমাগম হয় এমন সব স্থানে টানিয়ে দিতে হবে। বাস ও রেল স্টেশন, লঞ্চ ঘাট সর্বত্র তুই ধর্ষক, তোর স্থান এ সমাজে নেই। শিশু শ্রম, অনার কিলিং, বৈষম্যসহ বিভিন্ন ধরনের পিছিয়ে পড়ার বাধার বিরুদ্ধে আমরা দাঁড়াতে পারলে ধর্ষকের বিরুদ্ধে কেনো পারব না।
ধর্ষকদের জন্যে আমাদের সড়ক, জনপদ, যাতায়াত, ঘর সব এলাকা একের পর এক নিরাপত্তাহীনতায় গ্রাস হচ্ছে। ধর্ষকরা কোনো সাহসে বলতে পারছে, ‘চাচা আপনে যান, আপনার মেয়েটিকে রেখে যান’। ধর্ষকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। নারীর সমতা চান, সামাজিক নিরাপত্তা চান, আর ধর্ষকদের রাতের ঘুম হারাম হোক তা চান না তাহলে তো আপনি ধর্ষকেরই ভাই, বোন, পিতা, মাতা ও বন্ধু হয়ে সর্বোতভাবে তাদের ধর্ষণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন। আপনি হাসেন কিন্তু তার আড়ালে বিকৃত কামভাব জাগ্রত থাকে। আপনি ধর্ষণ না করেও ধর্ষকের মত আংশিক মজা লোটেন আর মানবাধিকারের জয়গান গান।
আপনার মতামত লিখুন :