সমীরণ রায়: [২] সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের এমনভাবে উদ্বুদ্ধ করে যে, আমরা দেশের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। তখনই যুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়ি।
[৩] তিনি বলেন, সি আর দত্তের তখন পাকিস্তানে পোস্টিং ছিল। যুদ্ধের সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তেমনি আবু ওসমান চৌধুরী চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।
[৪] সফিউল্লাহ বলেন, একদিন ঢাকা থেকে পাকিস্তানি এক ব্রিগেড কমান্ডার আমাকে লাঞ্চ করার প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বলি, আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি ব্যস্ত আছি। তখন সেটা প্রত্যাখ্যান করি।
[৫] বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আলম শহীদ স্মরণে স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৬] স্মরণ সভায় সরকারের কাছে তিন প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো- বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীর ঐতিহাসিক সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। মুক্তিযুদ্ধের ১১টি যুদ্ধ অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে একটি করে 'মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা জাদুঘর' প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে সেক্টর কমান্ডার ও কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা।
আপনার মতামত লিখুন :