কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবাসী কর্মীদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি ও সিআইপি সন্মাননা প্রদান করা হয়।
[৩] প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে অনুুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৪] সরকার ২০১৮ সালের জন্য ৩৮ জন অনাবাসী বাংলাদেশীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) স্বীকৃতি দিয়েছে।
[৫] বাংলাদেশে শিল্প ক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনাবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে সিআইপি সন্মাননা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিলেটের কল্লোল আহমদ।
[৬] এছাড়া বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সিআইপির মর্যাদা পাওয়া ৩০ জন হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, মোহাম্মদ ওলিয়ার রহমান, মাহাবুব আলম, এমাদুর রহমান, আবু নাঈম মো. তৌহিদুল আলম চৌধুরী, মনির হোসেন, জেসমিন আক্তার, রিপন দত্ত, নিগার সুলতানা, এসএম ইউসুফ, আবুল কামাল, মোস্তফা কামাল, মো. নুর খান, সাইদুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম।
[৭] যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেহাল রায় রহিম, যুক্তরাজ্যের মোহাম্মদ আবদুল রহিম, আদনান ইমাম, সায়ান জুবায়ের, ইতালির লুত্ফর রহমান মুন্সি, সৌদি আরবের মো. আক্কাস মিয়া, জাপানের কাজী সারওয়ার হাবিব, ওমানের মোছাদ্দেক চৌধুরী, মো. ইয়াছিন চৌধুরী, আশরাফুর রহমান এবং রাশিয়ার এসএম পারভেজ তমাল।
[৮] বিদেশে বাংলাদেশী পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে সাতজন সিআইপি হলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী কামাল আহমদ এবং বেলাল আহমদ।
[৯] যুক্তরাষ্ট্রের মারুফা আহমদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ সেলিম এবং নুরুল আলম। কুয়েতের আবুল কাসেম এবং মালদ্বীপের সোহেল রানা।
[১০] নির্বাচিত সিআইপিদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হতে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়।
[১১] সিআইপিরা দুই বছর পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
[১২] এছাড়া সিআইপিরা দেশ ও বিদেশে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন।
[১৩] বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন সিআইপিরা।
[১৪] সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
[১৫] বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধা পাবেন।
[১৬] সিআইপিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয় ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
[১৭] এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :