সমীরণ রায়: [২] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) আয়োজিত ‘যে শিক্ষা ও রাজনীতি বাঙ্গালি জাতিসত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করে সে শিক্ষা ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবীতে’ এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী যখন পালন করতে যাচ্ছি, তখনও স্বাধীনতার স্বপ্ন শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। শিক্ষা যেখানে দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সেখানে সংবিধানে রয়েছে। সেখানে এই অধিকার এখনও পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র।
[৩] তারা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার্থীরা যেমন দেশের হাজার বছরের সাহিত্য-সংস্কৃতির বিষয়ে অজ্ঞ। ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়ে অজ্ঞ। যার ফলশ্রুতিতে দেশে সার্বজনিন নীতিমালা গড়ে উঠছে না। সরকারকে এখনই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে যে শিক্ষাই গ্রহন করুক না কেন দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি-ইতহাস-মুক্তিযুদ্ধ-ভাষা সংগ্রাম তাদের কারিকুলামে বাধ্য করতে হবে।
[৪] বক্তারা বলেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশ ও স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র অপশক্তি এব্ং অতি প্রগতিশীলতার নামে ধর্ম বিদ্বেষী অপশক্তির অপতৎপরতা বন্ধে জাতীয় ঐক্য গঠনের এখনই সময়। আমরা বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
[৫] সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী'র সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মুসতাক ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সভাপতি মুশফিকুর রহমান মিন্টু, ন্যাশনাল ফ্রেণ্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি রাহাত হুসাইন প্রমুখ।