আরিফুর রহমান: [২] মাদারীপুরে দীর্ঘ ৮ বছরেরও বেশি সময় পর দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রী রিয়াকে গণধর্ষনের পর হত্যা মামলায় দুই যুবকের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, মাদারীপুর সদর উপজেলার শ্রীনদী ইউনিয়নের কোটবাড়ী গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে মিজানুর রহমান মোল্লা (২২) ও একইে গ্রামের নুরুল মোল্লার ছেলে মাহমুদুল হাসান মধু (২৪)।
[৩] মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর বিকেলে কোচিং শেষে আর বাড়ি ফেরেনি মাদারীপুর সদর উপজেলার শ্রীনদী ইউনিয়নের কোটবাড়ী গ্রামের গাউছ নপ্তির দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বাবেয়া আক্তার রিয়া। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় রিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ২৮ নভেম্বর নিহতের বাবা বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরনের পর হত্যা মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় প্রথমে মাহমুদুল হাসান মধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
[৪] তার দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গ্রেফতার হয় অপর আসামী মিজানুর রহমান মোল্লা। পরে ২০১৩ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি অপহরনের পর ধর্ষণ করে শ^াসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে মধু ও মিজানের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে তৎকালীন সদর থানার এসআই ফায়কুজ্জামান। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া ও যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. দিলরুবা সুলতানা আসামী দুইজনকেই ফাঁসির আদেশ দেন।
[৫] নিহত রিয়ার বাবা গাউছ নপ্তি বলেন, নিষ্পাপ ৮ বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত দুইজনকেই ফাঁসি দেয়া হয়েছে। এতে আমরা খুশি। এই ফাঁসি কার্যকর হলে অন্যমানুষ এমন অপরাধমূলক কাজ করতে সাহস পাবে না।
[৬] মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মোসলেম আলী আকন জানান, এই রায়ের ফলে সমাজে নারী নির্যাতন ও অন্য অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে। এই রায়ে আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রত কার্যকরের দাবি জানান তিনি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :