স্বপন দেব: [২] জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে হাকালুকি হাওর পাড়ের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হাওর এলাকায় দুদিনের বিশেষ ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তর হাওর হাকালুকি মৌলভীবাজারের বড়লেখা এলাকায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাছরাঙা প্রকাশন এ ক্যাম্পিং’র আয়োজন করে। পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় এলাকায় বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরে বন বিভাগের হাকালুকি বিট কার্যালয় এলাকায় গত শুক্র ও শনিবার এই ক্যাম্পিং হয়েছে।
[৩] প্রতিষ্ঠানটি নিজ তাগিদে জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে স্থানীয় মানুষকে অবগত করতে দ্বিতীয়বারের মতো এই উদ্যোগ নিয়েছে। ক্যাম্পিং এ প্লাস্টিক সামগ্রী বর্জন, পরিযায়ী পাখি হত্যা বন্ধ করতে স্থানীয় লোকদেরকে সচেতন করেন।
[৪] আয়োজকরা জানান, গত শুক্রবার নববর্ষের সন্ধ্যায় হাকালুকি ক্যাম্পিং-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাম্পিং- এর প্রধান সমন্বয়ক আবুল কাসেম।
[৫] যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টিভি সেভেন বাংলার সিলেট প্রতিনিধি জামিদুল ইসলাম নাহিদের পরিচালনায় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের সম্পর্কে আলোচনা করেন তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, নারী শিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক এম এ হাসান, মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নাজিম উদ্দিন, আলীফ সুবহান চৌধুরী সরকারি কলেজের প্রভাষক মাসুক মিয়া, বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ আহমদ প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পিং- এর সহযোগী সমন্বয়ক রাজেশ দেব নাথ ও অম্লান দাস সৌরভ।
[৬] রাত ১১টায় ক্যাম্প ফায়ার করা হয়। এরপর স্থানীয় ও অতিথি লোকশিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে স্থানীয় লোকজনকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্যাম্পিং- এ আসা সকলকে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়।
[৭] পরদিন শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাওরে আসা পর্যটক ও স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষের সাথে হাওরের পরিবেশ সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বিকেলে পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে ক্যাম্পিং- এর সমাপ্তি টানা হয়।
[৮] হাকালুকি ক্যাম্পিং সমন্বয়ক মৃণাল কান্তি দাস বলেন, হাওর এলাকায় আসা পর্যটকরা পানিতে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী, পলিথিনের প্যাকেট ইত্যাদি ফেলে যান। এগুলোর কিছু পচনশীল, আবার কিছু অপচনশীল। এসব কারণে ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাওর এলাকার পরিবেশ। এঅবস্থায় হাওরের পানিতে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এর নেতিবাচক প্রভাবের কথা মানুষকে অবগত করতে দ্বিতীয়বারের মতো আমরা হাওর এলাকায় ক্যাম্পিং করেছি। সম্পাদনা: ফরহাদ বিন নূর
আপনার মতামত লিখুন :