সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি এলাকায় এই ভ্যাক্সিনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সবচেয়ে বেশী মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য আমাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

[৩] তিনি বলেন, এই কমিটি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীরা, সম্মুখ সারির কর্মীরা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়ষ্ক জনগোষ্ঠীর অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়ন, করোনা ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও ভ্যাক্সিন প্রদানকালীন সময়ে ভ্যাক্সিন প্রদান কেন্দ্রসমূহের আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং ভ্যাক্সিন প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

[৪] করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে রোববার সকালে মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিএনসিসি এলাকায় ডিএনসিসি মেয়র কমিটির সভাপতি।

[৫] সভায় জানানো হয় যে, উন্নত বিশ্বে ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সঠিক নেতৃত্বে আমরাও খুব সহসাই এই টিকা পেতে যাচ্ছি। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমেই ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে ভ্যাক্সিনের প্রথম চালান দেশে পৌঁছাবে।

[৬] প্রথম পর্যায়ে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে, যা দিয়ে দেড় কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এর সহায়তায় আরও ৬ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন পাওয়া যাবে, যার মাধ্যমে আরও ৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে। তাছাড়া, সরাসরি টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে যোগাযোগ করছে। আশা করা যায় এই বছর শেষ হবার আগেই আমরা দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে আসবে।

[৭] সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বেলাল হোসেন, ঢাকার সিভিল সার্জন মঈনুল ইসলাম, ব্র্যাক ও ঢাকা আহসানিয়া মিশনের প্রতিনিধি, ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এ কে এম মাসুদুজ্জামান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাষ্টন, ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ মতিন উপস্থিত ছিলেন ছিলেন।