সমীরণ রায়: [২] শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির স্লোগান নিয়ে ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ ৭৩ বছরে পদার্পণ করবে আজ ৪ জানুয়ারি। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল থেকে যাত্রা শুরু হয় সংগঠনের। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
[৩] প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন বিকেল সাড়ে ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে। পরে বিকেল ৪টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবার বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকলেও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে করোনার কারণে পরিবর্তন এসেছে কর্মসূচিতে। এবছর কোনো শোভা যাত্রা হচ্ছে না। সকাল সাড়ে ৭টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৮টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৯টায় ঢাবির কার্জন হলে কেক কাটা, সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ছাত্রলীগ এক প্রতিনিধি টিমের শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল।
[৪] ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলোচনা সভা প্রতিটি জেলা, মহানগর ও উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে প্রজেক্টর এবং সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাবি এলাকায় দেওয়াল লিখন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির দেওয়ালে বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতিতে রং করা হয়েছে। এছাড়া ৬ জানুয়ারি টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সকাল ১১ টায় দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ৮ জানুয়ারি ঢাবির অপরাজেয় বাংলা সংলগ্ন বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি।
[৫] ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রলীগ জাতির পিতার হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালন করার চেষ্টা করছি। সবাইকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :