সমীরণ রায়: [২] শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সুগার মিলস চিল্ড্রেন্স ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারি চিনিকলগুলোর লোকসানের জন্য দায়ী গুটি কয়েকজনের দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা। এর দায় হাজার হাজার সাধারণ শ্রমিক আর আখ চাষীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও সরকারি চিনিকলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে আখচাষীদের ও শ্রমিক কর্মচারীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আখ চাষীদের ভবিষ্যতে আখ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
[৩] এসএমসিএফ নেতারা বলেন, করোনা মহামারির সময় সরকার বিভিন্ন সেক্টরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিলেও চিনি শ্রমিকদের মাসের পর মাস বেতন দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এর ফলে অত্যন্ত শোচনীয়ভাবে তাদের দিন কাটাচ্ছে। এজন্য দ্রুত মিলগুলোতে বকেয়া বেতন পরিশোধ করে চিনিকলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
[৪] তারা বলেন, চিনিশিল্প আধুনিকায়নের কথা মুখে বলেও আজ অব্দি বাস্তবায়িত হয়নি। দুটি চিনিকল আধুনিকায়ন করার জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও গত সাত বছরে কয়েকটি গাড়ি কেনা ছাড়া প্রকল্পের কোনো কাজ হয়নি। অথচ এর দায় বহন করতে হচ্ছে হাজার হাজার আখচাষি আর চিনি শিল্প শ্রমিক কর্মচারীদের। সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ মওকুফ করেছে এবং খেলাপি ঋণ নিয়মিত করনের সুবিধা দিয়েছে।
[৫] তারা আরও বলেন, সরকার বিএডিসি, বিমান ও রেলেসহ বিভিন্ন সংস্থায় হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে আসছে। সে তুলনায় চিনি শিল্পের ভর্তুকির পরিমাণ অত্যন্ত কম। অথচ এ শিল্পে মূল্যসংযোজন একশতভাগ। টেকসই উন্নয়নের সরকারি নীতির সঙ্গে চিনি শিল্পের উন্নয়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :