তাপসী রাবেয়া: [২] দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরীর প্রথমবার মাসিক হওয়ার আগে ঋতু¯্রাব সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না। এখনো দেশের ৫৭ শতাংশ কিশোরী ও ৭১ শতাংশ প্রাপ্তবয়ষ্ক নারী মাসিকের সময় ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করে না। দেশের ৬১ শতাংশ ছেলে- মেয়ে পানি ও সাবানের সুবিধা রয়েছে এমন বিদ্যালয়ের উন্নত ও ব্যবহারযোগ্য টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পায় না।
[৩] বৃস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশ করা এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিবিএস, ইউনিসেফ ও ওয়াটারএইডের যৌথ উদ্যোগে জরিপটি পরিচালিত হয়েছিল।
[৪] জরিপের ফলাফল জানিয়ে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কিশোরীদের মাঝে ৩০ শতাংশ বলেছে, তারা শেষ ছয় মাসে তাদের মাসিকের সময় বিদ্যালয়ে যায়নি। এই সময়ে তারা প্রতিবার মাসিকের সময় গড়ে আড়াই দিন করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল। ৩৬ শতাংশ কিশোরী বলেছে, তারা ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যশিক্ষা বিদ্যালয় থেকে পেয়েছে।
[৫] ৪৩ শতাংশ কিশোরী ও মাত্র ২৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী জানিয়েছেন, তাদের মাসিকের সময় ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করে। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি কিশোরী এবং দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ডিসপোজেবল প্যাড ব্যবহার করছেন না।
[৬] এদিকে, জরিপে উঠে এসেছে দেশের মাত্র ২২ শতাংশ বিদ্যালয়ে স্যানিটারি প্যাড অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ঋতু¯্রাব ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা মানসম্পন্ন টয়লেটও রয়েছে। এছাড়াও, বিদ্যালয়ে পানি ও সাবানের সুবিধা রয়েছে এমন উন্নত ও ব্যবহারযোগ্য টয়লেট ব্যবহার করতে পারে মাত্র ৩৯ শতাংশ ছেলে- মেয়ে।
[৭] সরাসরি সাক্ষাৎকার, স্যানিটেশন সুবিধাগুলো দেখতে তাৎক্ষণিক যাচাই এবং বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা, হাত ধোয়া পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :