শরীফ শাওন: [৩] রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
[৪] মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল খোশনবীশ বলেন, উদ্বোধনী দিন হিসেবে শুক্রবার বই বিতরণ করা হয়েছে, ১০ জানুয়ারির মধ্যে শতভাগ বিতরণ সম্ভব হবে আশা করছি।
[৫] মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান স্কুল ও তেজগাঁও শিল্প এলাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন বই পেতে শিক্ষার্থীদের চেয়ে অভিভাবকরাই বেশি এসেছে। যারা আসতে পারেননি তাদের ফোন দিয়ে জানানো হচ্ছে।
[৬] প্রতিটি শ্রেণিতে তিন দিন করে মোট ১২ দিন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। প্রাথমিকের বই বিতরণ ১ ও ২ জানুয়ারির মধ্যে এবং মাধ্যমিকে নবম শ্রেণি ১-৩ জানুয়ারি, অষ্টমে ৪-৬, সপ্তমে ৭-৯ এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০-১২ জানুয়অরির মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা রয়েছে।
[৭] জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছেছে প্রাথমিকের শতভাগ বই। ছাপার বিঘ্ন ঘটায় মাধ্যমিকের সব বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো সম্ভব হয়নি। মাধ্যমিকের বাদবাকি বই আসছে চলতি সপ্তাহে।
[৮] তিনি বলেন, এবছর ৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি বই তুলে দেওয়া হবে। যার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং ইবতেদায়ীর ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫৩ শিক্ষার্থীকে ২৪ কোটি ১০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৭টি বই এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ২ কোটি ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৩ জন শিক্ষার্থীর হাতে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি বই বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ হচ্ছে সর্বমোট ৪০১ কোটি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৮টি।
সম্পাদনা: সারোয়ার জাহান
আপনার মতামত লিখুন :