শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:০৮ দুপুর
আপডেট : ০১ জানুয়ারী, ২০২১, ১০:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ রুবেল : বহুরূপী স্বাধীনতা বনাম প্রকৃত স্বাধীনতা

মোহাম্মদ রুবেল : উৎসর্গ : নির্যাতিত মহিলা ডাক্তার আর নাপিতের ছেলে দম্পতির প্রতি স্বাধীনতা ব্যবসায়ীর সাধারণ রূপটা কী? এটাকে হেগেল সাহেবদের গুরু জার্মান দর্শন ব্যবসায়ী কান্ট বুঝে বা না বুঝে বলেছিলেন বিবেকের স্বাধীনতা। আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে যে নির্দেশ আসবে সেটাই আমি করবো, আর কিছু করবো না। এসব বেশ জটিল কথা। সহজ কথা আমার সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারবো, আমাকে যেন কেউ বাধ্য না করে। ওই যে মুহাম্মদ ইউনূসরা স্লোগান দিয়েছিলেন- পচা স্লোগান- ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’, অনেকটা এ জাতীয়। আরেকটা হলো সম্পত্তি অর্জনের অবাধ স্বাধীনতা। এই দুই স্বাধীনতাই হলো- তাদের মতে, আধুনিক যুগের স্বাধীনতা। একদিকে সম্পত্তি অর্জনের স্বাধীনতা, অন্যদিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা। হেগেলের মতে, সবচেয়ে ভালো স্বাধীনতা হলো প্রয়োজনে আমার মরার স্বাধীনতা। কী সিদ্ধান্ত নেবো আমি? আমার ইজ্জত- সম্মান অনেক সময় আমার প্রাণের চেয়েও হয়ে ওঠে। আমি কি আমার ইজ্জতের জন্য মরতে পারি? হতে পারে আমার জাতীয় বা ব্যক্তিগত ইজ্জত। যেমন আমি আমার যে মূল্যকে বড় মনে করি সেই মূল্য মানে স্বাধীনতাকে মনে করি সবচেয়ে বড় জিনিস। সেটাকে রক্ষা করার জন্য আমি আমার বস্তুগত প্রাণ, আমার জৈবিক প্রাণ, আমার মরদেহ বিসর্জন দিতে রাজি আছি। ধরেন, দুনিয়ায় এমন কিছু আছে যা আপনি দিতে পারেন, যা আপনার প্রাণের চেয়েও বড়, তার নাম যাই দেন না কেন সেটাকেই বলছি ‘স্বাধীনতা’। নিজের প্রাণের চেয়েও বড় কোনো কিছু রক্ষা করার জন্য যদি আপনি নিজের প্রাণও দিতে প্রস্তুত থাকেন তাহলেই আপনি প্রকৃত স্বাধীন। কিন্তু এর মূল্য এমন হতে পারে যা স্বাধীনতার সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে যেতে পারে। প্রাণটা যদি দিতে হয় দেবো।

সমস্যার মধ্যে, যদি মাত্র কয়েকজনে প্রাণটা দেয় তো আমরা বাকিরা বেঁচেবর্তে থাকি। প্রশ্ন হলো, প্রাণ কে দেবে আর কে বাঁচবে! তখনই ওই সমাজ বন্ধনের প্রশ্নটা আসে। এতোদিন বলা হচ্ছিল স্বাধীনতার মাপকাঠি আমি একা। আসলে স্বাধীনতার মাপকাঠি আমি একা নই। মাপকাঠি কিন্তু সমাজ বা সমিতি। সকলে না মিলিলে স্বাধীনতা থাকে না। এখন আমরা বুর্জোয়া স্বাধীনতা বলতে কী বুঝবো? বুঝব সম্পত্তি অর্জনের স্বাধীনতা। যার যার- তার তার, ভাই ভাই- ঠাঁই ঠাঁই। এই বস্তুকে আমেরিকানরা বলে ওলন্দাজ রীতি, আর আমরা বলি মার্কিন রীতি। আমরা যখন হোটেলে খেতে যাই, বলি- যার যার পয়সা সে সে দেবা। বলি, চল যাই মার্কিন পথে। আমেরিকারা বলে, চল যাই ওলন্দাজ পথে। আমেরিকানরা ওলন্দাজদের কাছেই এই সত্য শিখেছিলো। এটাই অর্থনৈতিক ব্যক্তিস্বাধীনতার বক্তব্য। সোজা বাংলায় এই বস্তুর নাম স্বার্থপরতা। স্বাধীনতা কিন্তু স্বার্থপরতায় রক্ষিত হয় না। এখন আমরা যদি এই সমাজ বন্ধনে বিশ্বাস করি তো আমরা স্বাধীনতা ধর্মেই ঈমান আনবো। এটা আমরা যাকে বলি সর্বজনীন বা নিখিল সেই রূপ। এজন্যই বললাম, সম্রাজ্যবাদের যুগে আপনি যেখানেই প্রাণ দিচ্ছেন, প্রাণ দেওয়ার পর আপনি টের পেলেন- আপনি যার বিরোধিতা করেন আপনার প্রাণ তার হাতেই চলে গেছে। আপনি রক্ত দিয়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য কিন্তু রক্ত দেওয়ার পর আপনি হলেন আরো পরাধীন। সুতরাং, আমি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে যাকে মুক্তি মনে করেছি সে যদি হয় আমার বন্দিত্বের কারণ, তবে আগে থেকেই আমাকে জানতে হবে মুক্তি ও বন্দিত্বের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়। ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়