লিহান লিমা: [২] মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশ-ভারত বিশেষ সম্পর্কের অন্যতম নিদর্শন বলে অভিহিত করে কংগ্রেস এই কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপনে কংগ্রেসের কর্মসূচির পরিকল্পনা ও তার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] এক বিবৃতিতে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘দু’দেশের সম্পর্কের প্রতীক ১৯৭১-এর ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করতেই কমিটি তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সরাসরি এই কমিটির সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।’
[৪]কমিটির নেতৃত্ব দেবেন কেরালা থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য ও ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। কমিটিতে রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতের সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাবু জগজীবন রামের কন্যা ও সাবেক লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্র্জীর কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখার্জী, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ, মেজর বেদ প্রকাশ ও ক্যাপ্টেন প্রবীণ দাভারের মতো সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।
[৫] প্রসঙ্গত, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিও মুক্তিযুদ্ধের ৫০তম বার্ষির্কী উপলক্ষ্যে ‘স্বর্ণিম বিজয় বর্ষ’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারতের যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয়’ বলে আখ্যায়িত করাসহ দেশটির শীর্ষ রাজনীতিবিদদের এ সম্পর্কিত টুইট বার্তার তীব্র সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা।