মনিরুল ইসলাম : [২] আজ ৩০ ডিসেম্বর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছরপূর্তি। ২০১৮ সালের এইদিনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়। টানা তৃতীয়বারের মত ৫ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়।
[৩] আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন । ৪৭ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রী সভা গঠন করেন।
[৪] উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও বিএনপি, বামদলসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দাবিতে ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিলে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়।
[৫] নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি শপথ নেন সংসদ সদস্যরা। তবে ওই দিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেননি। ওই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
[৬] তবে ওইনির্বাচনে দেশে সংঘাত, হানাহানি কম হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের লম্বা লাইনও দেখা গেছে। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভারত, নেপাল, সার্ক ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাচনী পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের মতে, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট শেষ হয়েছে।
[৭] সারাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। যার মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ও ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন নারী ভোটার।