ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম : গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, মাসে ১২ মিলিগ্রামের একটি করে আইভারমেকটিন ৪ মাস সেবনে ৫৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ৪ জন (৭ শতাংশ)। তবে কন্ট্রোল গ্রুপের ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী যাদেরকে আইভারমেকটিন দেওয়া হয়নি তাদের মধ্যে ৪৪ জন (৭৩ শতাংশ) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ আইভারমেকটিন সেবন না করলে ১০০ জনের ভেতরে ৭৩ জনই করোনায় আক্রান্ত হয়। এই কন্ট্রোল গ্রুপের সবাইকে কী বড় এক চৌবাচ্চা করোনাভাইরাস পরিপূর্ণ পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়েছিলো? তা না হলে ১০০ জনের ভেতরে ৭৩ জনই কীভাবে করোনায় অক্রান্ত হয়? আমাদের দেশের স্বাস্থকর্মীরা যারা কোভিড রোগীদের সেবায় নিয়োজিত তাদের ভেতরে শতকরা ৭৩ জনই কী তাহলে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে?
এই গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে যে স্বাস্থকর্মীদের ভেতরে ডিজিজ প্রিভ্যালেন্স ৭৩ শতাংশ। এটা কীভাবে সম্ভব? সবাই হয়তো আইভারমেকটিনের কার্যকারিতার দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ হয়তো এতোক্ষণে ফার্মেসিতে পৌঁছে গেছে ওষুধটি কেনার জন্য। কিন্তু আমি তাকিয়ে আছি কন্ট্রোল গ্রুপের দিকে। যেকোনো ট্রায়ালের কন্ট্রোল গ্রুপটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেকটা পরিমাপের নিক্তি। এটা ঠিক না থাকলে ফলাফলটাই ঠিক থাকে না। বাংলাদেশে কোভিডের প্রিভ্যালেন্স আসলে কতো? গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ডিসেম্বরের European Journal of Medical and Health Sciences জার্নালে। ড. খোন্দকার মেহেদী আকরাম, এমবিবিএস, এমএসসি, পিএইচডি,সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :