আবদুল ওহাব: [২] বগুড়ার শাজাহানপুরে বাপ্পি (১৫) নামের এক কিশোরকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের গয়নাকুড়ি গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে।
[৩] একইসাথে সাহেব আলী (১৪) নামে আরেক কিশোরকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানো শুরু করলে সে আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত হয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। সে বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আহত কিশোর সাহেব আলী একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
[৪] মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে এবং বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও শাজাহানপুর থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
[৫] নিহতের পরিবার জানান, বাপ্প্ িপাখি শিকার করতে ভালবাসতো। এ জন্য কে বা কারা বাপ্পিকে ফোন করে ডেকে নেয়। বাপ্পি রাতের খাবার খেয়ে পাখি ধরার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত ১২টার দিকে বাপ্পির বন্ধু সাহেব আলী আহত রক্তাক্ত অবস্থায় দৌঁড়ে বাপ্পির বাড়িতে এসে জানায়, গয়নাকুড়ি সলাকুড়িয়া চড়ার ভেতর কে বা কারা বাপ্পিকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। তাকেও মেরে ফেলার জন্য ছুরিকাঘাত করলে দৌঁড়ে পালিয়েছে। মোবাইল ফোন তাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। এই কথা বলে সাহেব আলী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।
[৬] এরপর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, গুরুতর আহত অবস্থায় সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
[৭] এদিকে হত্যার সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাপ্পিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। কিশোর সন্তানের লাশ দেখে মাবাবা কান্নায় ভেংগে পড়ে। তাদের কান্না আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি করে তোলে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
[৮] বাপ্পির বাবা জানান, বাপ্পি বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে কোনো এক অফিসারের বাসায় কাজ করতো। ৮ দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে।
[৯] শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাপ্পির ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। সম্পাদনা: ফরহাদ বিন নূর
আপনার মতামত লিখুন :