আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বিশেষ প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও বলেছে, কোনও কারণে ইউরোপের দেশ দুটি পিছিয়ে গেলেও এশিয়ার দুই শক্তি এগিয়ে যাবে দুর্দান্ত গতিতে।
[৩] সম্প্রতি শক্তিশালী অর্থনীতি বলে বিবেচিত দেশগুলোর উৎপাদন ও রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে উঠে আসছে কিছু অর্থনৈতিক শক্তি। মহামারি পরবর্তী সময়ে দেখা যেতে পারে নতুন ৪ অর্থনৈতিক নেতৃত্ব। এই ৪ দেশ একইসঙ্গে অতিমহামারি মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছে।
[৪] অতিমহামারির কারণে বাড়ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তি সামনের বছরগুলোতে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি দেখতে পারে। তবে তা মূলত প্রভাব ফেলবে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে, রপ্তানিবাজারে নয়। এই সুযোগে উপরে উঠে আসবে কিছু উন্নয়নশীল অর্থনীতি।
[৫] চীন নিজের অর্থনীতিকে দ্রুত বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে স্পর্শ করতে চলেছে। তারাও ঝুঁকছে প্রযুক্তির দিকে। রাশিয়া, পোল্যান্ড, কেনিয়া আর আর্জেন্টিনাতেও নতুন নতুন ইন্টারনেট কোম্পানি গড়ে উঠছে। তবে তারা কেউই আন্তর্জাতিক বাজারমুখী নয়।
[৬] অতীেেত দেখা গেছে, যেসব দেশের জিডিপির ১৫ শতাংশ দখল করেছে উৎপাদন খাত, তারাই পরিণত হয়েছে অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউজে। বিশ্বের মাত্র ৪টি দেশ বর্তমানে এই ক্যাটাগরিতে পড়ে- বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, পোল্যান্ড আর চেক প্রজাতন্ত্র। কম মজুরি আর ছোট সাপ্লাই লাইনের সুবিধা নিয়ে এই ৪ দেশ রীতিমতো চীনের মুখ থেকে গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে।
[৭] মহামারি পরবর্তী পৃথিবীতে যেই অর্থনীতি পণ্য উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারবে, তারাই দেবে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতৃত্ব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বে এই কাজ করার মতো দেশ ৪টিই আছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :