তৌহিদুর রহমান নিটল: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করার পর সাথী আক্তার (১৯) নামের এক প্রতিবন্ধী প্রসূতি এক ছেলে শিশু প্রসব হয়েছে।
[৩] প্রতিবন্ধী প্রসূতি ওই মহিলা জন্মগত ভাবে পা বিকলাঙ্গ ছিল। সে মানুষের সাহায্য নিয়ে চলে। তার আত্নীয়-স্বজন নেই বললেই চলে, এখন হাসপাতালে নার্সরা অভিভাবক হয়ে প্রসূতি ও নবজাতককে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
[৪] মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালে সাথী আক্তারের সিজার করেন ডা. জিনান রেজা ও ডা.শারমীন হক দীপ্তি। মা ও নবজাতকসহ দুইজনই সুস্থ আছেন। বর্তমানে হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা পাচ্ছেন সাথী ও নবজাতক ছেলেটি।
[৫] জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে কলোনির এক মহিলা প্রতিবন্ধী প্রসূতিকে হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করেন। ভর্তি করানোর পর প্রসূতি মাকে ১হাজার টাকা দিয়ে ওই মহিলা চলে যাওয়ার পর থেকে সাথীর পাশে আর কেউ ছিল না। ওই মহিলার পাশে কেউ না থাকলেও হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা অভিভাবক হয়ে চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব নেন। মঙ্গলবার সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে ছেলে শিশু প্রসব হয়। প্রসবের পর নবজাতক ছেলে ও প্রসূতি মাকে হাসপাতালের কনসালট্যান্টদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
[৬] ওই মহিলাকে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ওষুধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করছেন "ব্রাহ্মণবাড়িয়া'র বাতিঘর'' নামের একটি সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের অঙ্গ-সংগঠন 'ব্লাড ডোনার অব বাতিঘর' এর পরিচালক মো. রাকিবুল ইসলাম ও মো. আব্দুর রহমান, সাংবাদিক আজহারসহ অন্যান্য সদস্যরা।
[৭] হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, ওই প্রতিবন্ধী প্রসূতির একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়েছে। মা ও শিশু দুইজনই সুস্থ আছেন৷ হাসপাতাল থেকে সকল প্রকার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের নার্স ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা ওই মহিলার খাবার থেকে শুরু করে যখন যা প্রয়োজন হচ্ছে তা ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
[৮] গত দেড়বছর আগে আখাউড়া উপজেলার শান্তিপুরের বাছির মিয়া নামের এক প্রতিবন্ধীর সাথে সাথীর বিয়ে হয়। সাথীর পেটে যখন বাচ্চা আসে তখন কাদির মিয়া স্ত্রীর কোন খোঁজখবর রাখেনি। সম্পাদনা: ফরহাদ বিন নূর
আপনার মতামত লিখুন :