মাছুম বিল্লাহ: [২] বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ভারত অংশীদার হতে চায় এবং পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে দু’দেশের মধ্যে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হবে। সোমবার এ কথা বলেছেন ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির মুখপাত্র ও সাবেক ছিটমহল বিনিময় কমিটির সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।
মঙ্গলবার ভারতে প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগশঙ্খ এ খবর দিয়েছে।
[৩] পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁলে থাকা তিস্তা চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে এ চুক্তি হচ্ছে না জানিয়ে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, আমাদের সরকার এই চুক্তি দ্রুত সম্পাদন করবে।
[৪] দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেছেন, আমরা মনে করি, পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে আমার ঘরে লাগবে না এমনটা ভাষার কোনও কারণ নেই। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামাজিক উন্নতি হলে আমরাও তার অংশীদার হব। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নত সম্পর্কে বিশ^াসী।
[৫] তিনি বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার ৩৪৮ দিনের মাথায় ছিটমহল বিনিময় হল। এ নিয়ে কিন্তু মোদি কোনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন না। তিস্তা একটা সামান্য ইস্যু। রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে তিস্তা চুক্তি হবেই। এর পাশাপাশি ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক, পশ্চিমবাংলার সঙ্গেও ঠিক তেমন সম্পর্কই গড়ে উঠবে। আমরা বাংলাদেশের দাশিয়ারছড়া থেকে ফুলবাড়ি উপজেলা দিয়ে তৈরি হওয়া সেতু দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নয়া রাস্তা খোলার চেষ্টা করবো। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উত্তরের অংশে একাধিক স্থলসীমান্ত এবং রেলপথ চালু করাই আমাদের লক্ষ্য। বাড়বে সীমান্তহাটও।