শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেনো সুরা আল-ফাতিহা কোরআন শরীফের প্রথম সুরা, কিভাবে তা আমাদের জীবন পাল্টে দেয়

রাশিদ রিয়াজ : আমরা সবাই জানি, ‘ইকরা’, ‘মুজাম্মিল’, ও সুরা ‘মুদ্দাসসিরে’র কয়েকটি আয়াত সুরা আল-ফাতিহার পূর্বে নাযিল হয়েছে। তাহলে সুরা আল-ফাতিহা কেনো প্রথমেই দেয়া হলো। কারণ হচ্ছে পরিপূর্ণ সুরা হিসেবে আল-ফাতিহা সর্বপ্রথম নাযিল হয়। এজন্যে সুরা আল-ফাতিহাকে ‘ফাতিহাতুল কিতাব’ বা কোরআনের উপক্রমিকা হিসেবে রাখা হয়েছে। সুরা ফাতিহা এদিক দিয়ে সমগ্র কোরআনের সার-সংক্ষেপ। সমগ্র কোরআনের সারমর্ম সংক্ষিপ্তকারে বলে দেয়া হয়েছে। কোরআনের অবশিষ্ট সুরাগুলো প্রকান্তরে সুরা ফাতিহার বিস্তৃত ব্যাখ্যা।

কোরআন অধ্যয়ন শুরুর আগে কোনো ব্যক্তি যেন প্রথমে যাবতীয় ধ্যান-ধারণা অন্তর থেকে দূরীভূত করে একমাত্র সত্য ও সঠিক পথের তালাশের জন্যে মনোনিবেশ করে এবং আল্লাহ যেন তাকে সিরাতুল মুস্তাকীমের হেদায়েত দান করেন। রাসুলে করীম (সা:) এরশাদ করেছেন যে যার হাতে আমার জীবন-মরণ, আমি তার শপথ করে বলছি, সুরা ফাতিহার দৃষ্টান্ত তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর প্রভৃতি অন্য কোনো আসমানী কিতাব তো নেই-ই, এমনকি পবিত্র কোরআনেও এর দ্বিতীয় নেই। ইমাম তিরমিযী আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হুযুর সাল্লাল্লাহ আলাইহে ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন যে সুরা ফাতিহা প্রত্যেক রোগের ঔষধবিশেষ। হাদীস শরীফে সুরা ফাতিহাকে সুরায়ে শেফাও বলা হয়েছে।

সুরা ফাতিহা পাঠ ও এর অর্থ আমরা অনুধাবন করতে পারলে জীবন সম্পর্কে আমাদের নতুন ধারণার সৃষ্টি হয়। আমরা নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করতে পারি। দেখুন সুরার প্রথম লাইনেই বলা হয়েছে, (পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি) (১) যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ্ তায়ালার যিনি গোটা সৃষ্টিজগতের পালনকর্তা। আমরা যদি এটুকু মানি তাহলে মেনে নিচ্ছি প্রশংসা আসলে আল্লাহরই প্রাপ্য, এই সৃষ্টিজগতের সবকিছুর পালনকর্তা তিনিই। অহংকার, আমিত্ব আমাদের বিসর্জন করতেই হয়। এরপরের লাইন বলছে, (২) যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু। তার মানে বিশ্বাস ও আস্থা রাখলে মহান আল্লাহর কাছ থেকে কোনো বঞ্চিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেখুন তার প্রতি আমাদের আত্মবিশ্বাস কি পরিমান বেড়ে যায়। তারপর (৩) যিনি বিচার দিনের মালিক। এটি স্বীকার করলে আমাদের আর কোনো ভরসার স্থল কি থাকে এক আল্লাহ ছাড়া?? তিনিই তো বিচারের মালিক যার কাছে আমাদের জবাদিহী করতে হবে এবং আমরা তা করতে বাধ্য। এরপর (৪) আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধু তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। দেখুন এটি মানলে আর কারো সাহায্যের জন্যে আমাদের অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। নিজেকে অক্ষম ভাবার কোনো সুযোগ নেই, তার পথের ও নির্দেশনায় চলার জন্যে যে এ লাইনটি পাথেয় হয়ে পড়ে। তারপর ৫) আমাদের সরল পথ দেখাও, যেহেতু তার ওপর আমরা সম্পূর্ণ ভরসা করি তাই তারই দেখানো পথে আমরা চলতে চাই, কোনো বক্র বা জটিল পথ চাইনা। এবং (৬) সে সমস্ত লোকের পথ যাদের তুমি নেয়ামত দান করেছো। তারমানে অনুসন্ধান করলে আমরা দেখতে পাই আল্লাহর পথে চলে যারা নেয়ামত প্রাপ্ত হয়েছে অর্থাৎ আমাদেরও আশাহত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সর্বশেষ (৭) তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। এটা হচ্ছে চূড়ান্ত পরিণতি, আল্লাহকে বিশ্বাস না করে অন্যপথে যেয়ে গজবে নিপতিত হতে যেন আমাদের না হতে হয়। এবং পথভ্রষ্ট বা পথও হারাতে না হয়। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়