সাদ্দাম হোসেন: [২] বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পৌর নির্বাচনের সকল কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের একতরফা ব্যবস্থা নিয়ে ডিজিটাল কারচুপির নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে সরকার ও তার নির্বাচন কমিশন।
[৩] প্রোগ্রামিংয়ে কারসাজি করে নির্বাচনে পূর্ব নির্ধারিত ফলাফলে তাদের (আওয়ামীলীগ) প্রার্থীকে তারা নির্বাচিত করছে।
[৪] মঙ্গলবার দুপুরে কালিবাড়ী তাঁতীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় সেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন সহ বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
[৫] ইভিএমকে ভোটার-বান্ধব কোন পদ্ধতি নয় বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রোগামে ঠিক করা ধানের শীষ, চলে যাবে নৌকায়। আবার ফাইনালি ভাবে দেখা যায় ১০বার ভোট দেয়া হলে সেখান থেকে ৮টা ভোটই চলে যাবে নৌকায়। ইভিএমমের যে বোতামই টিপানো হোক না কেনও ফলাফল কিন্তু আগের ঠিক করা স্থানে যাবে।
[৬] ইভিএম ও নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প সম্পর্কে ফখরুল বলেন, আমরা চাই নিরপেক্ষ একজন নির্বাচন কমিশনার সেই সাথে ইবিএম বাতিল করে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটপ্রদান। ইভিএম ব্যবহার না করার যৌক্তিকতায় ফখরুল বলেন, ইভিএম ব্যবহার নিশ্চয়ই ভোটারদের জন্য সহজ এবং বোধগম্য কোন পদ্ধতি নয়। আমাদের সহজ সরল ভোটারগণ ইভিএমের মতো জটিল প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত নয় এবং সেভাবে যথাযথ প্রশিক্ষনও পায়নি।
[৭] আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসন ও ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আমলাদের তারা তুষ্টি করছে। যার ফলে রাজনীতিবিদরা পেছনে চলে যায়। আমলাদের উপর নির্ভরতা সে আয়ুব খান আমল থেকে শুরু করে এরশাদের আমলেও হয়ে এসেছে এবং দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান আওয়ামীলীগের আমলেও এমনটি হচ্ছে।
[৮] যে আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে জনগণের দল হিসেবে পরিচয় দেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বলে দাবি করে সেই আওয়ামী লীগ আজ জনবিচ্ছিন্ন এবং লুটপাটের দলে পরিণত হয়েছে।
[৯] প্রথম ধাপের পৌ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্থানীয় সরকার কখনও কোন সরকার পরিবর্তন করে না। কিন্তু সেখানেও তারা (আওয়ামীলীগ) শক্তি প্রয়োগ করে । বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ইলেকশন কমিশনারের যোগসাজশে তারা স্থানীয় সরকারের আসন গুলোকে দখল করে নিয়ে গেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :