রাশিদুল ইসলাম : [২] স্পেনের প্রায় ২৮ শতাংশ নাগরিক টিকা নিতে চান না। দেশটিতে এখন ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা নিতে অনিচ্ছুকদের নিবন্ধন করছে। এই তথ্য তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে শেয়ার করবে। দি লোকাল
[৩] স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইলা বলেছেন, এই তালিকা সাধারণ জনগণ ও চাকরিদাতাদের কাছে উন্মুক্ত করা যাবে না।
তিনি বলেন, এই ভাইরাসকে পরাজিত করার উপায় হলো যত বেশি জনকে টিকা দেওয়া হবে ততই ভালো।
[৪] সোমবার লা সেক্সটা টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইলা জোর দিয়ে বলেন টিকা দান বাধ্যতামূলক না। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ তথ্য শেয়ার করবো যে এই সব মানুষদের টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সেটা গ্রহণ করেনি। এটা জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য কোন তথ্য-প্রমাণ না। পুরোটাই করা হবে তথ্য রক্ষার প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা রেখে।
[৫] তিনি আরও বলেন যাদের কে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং তারা সেটা যেকোনো কারণেই হোক ফিরিয়ে দিয়েছে সেটা নিবন্ধনে উল্লেখ থাকবে। গত নভেম্বরে স্পেনে ৪৭ শতাংশ মানুষ টিকা না নেয়ার পক্ষে ছিল। স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, যারা টিকা নিতে চান তাদের সঙ্গে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করবে।
[৬] তবে সালভাদর ইলা আরো জানান যারা টিকা নিতে চান না আমরা মনে করি এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত কিন্তু তারপরেও এটা তাদের অধিকার। আমরা এই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করছি। টিকা দেওয়ার ফলে জীবন রক্ষা হবে।
[৭] স্পেন জুড়ে রাত ১১টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ চালু রয়েছে যেটা চলবে মে মাসের শুরু পর্যন্ত। কোনো কোনো স্থানে মানুষকে শুধু কাজে যেতে, ওষুধ কিনতে এবং বৃদ্ধ ও শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য বের হতে দেওয়া হচ্ছে। তবে আঞ্চলিক নেতারা কারফিউয়ের সময় পরিবর্তন, এমনকি সীমান্ত বন্ধ করে দিতে পারবেন।
[৮] স্পেনে এ পর্যন্ত ১৮ লাখের বেশি কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মারা গেছে ৫০ হাজার মানুষ।