সমীরণ রায়/মহসীন কবির: [২] হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ‘রহস্য’ বিচার বিভাগী তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ৪দফা দাবি তুলে ধরেন আহমদ শফী আল-মাদানি। এরমধ্যে রয়েছে-স্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা; দায়ের করা মামলা তদন্ত করে অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা; আহমদ শফীর পরিবার ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যারা মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং সব দ্বীনী ও সামাজিক অঙ্গনগুলো থেকে বিরোধীদের অপসারণ করতে হবে।
[৩] আহমদ শফী আল-মাদানি বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মুত্যুর তিন দিন আগে তার অফিস রুম ও হাটহাজারী মাদ্রাসার অনেক শিক্ষকের রুম ভাঙচুর করা হয়। জীবনের শেষে মুহূর্তে তাকে প্রয়োজনীয় ওষধ খেতে দেওয়া হয়নি। রুমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও এসি ফ্যানসহ আসবারপত্র ভাঙচুর করা হয়। মুখের অক্সিজেন খুলে ফেলাসহ হাসপাতালে যেতে বাধা সৃষ্টি করা হয়। ফলে আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে বলার কোনো সুযোগ নেই। জুনায়েদ বাবুনগরী বলছেন, আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি এর স্বপক্ষে আমার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেওয়া স্বীকারোক্তিকে দলিল হিসাবে ব্যবহার করছেন। অথচ গত ২২ সেপ্টেম্বর আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, হেফাজতে দুইটি রাজনৈতিক দলের একটির ৩৬ জন, আরেকটির ২৪ জন সদস্যকে বিভিন্ন পদে পদায়িত করে হেফাজতকে একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক গোষ্ঠির এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।
[৬] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :