তৌহিদুর রহমান : [২] প্রকৃতির সবুজ গাছ-পালার স্বাদ উপভোগ করতে সকলের ইচ্ছা থাকে। শহরের যান্ত্রিক সভ্যতার দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ । সবুজকে ধরে রাখতে শৌখিন মানুষ বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান।ছাদ বাগান এখন আর শৌখিনতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদাপূরণ, বিনোদন এবং অবসর কাটানোর এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এসব ছাদ বাগানগুলো।
[৩] সময়ের সাথে সাথে পল্লা দিয়ে জেলায় বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাদ বাগানের যাত্রা শুরু । শহরে জায়গার পরিমাণ কম হওয়ায় জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ছাদ বাগানের সংখ্যা। প্রায় ৬০ ভাগ বিল্ডিংয়ের ছাদে রয়েছে ছোট – বড় বাগান। প্রথমে শখের বশবর্তী হয়ে শুধুমাত্র ফুল গাছ লাগালেও এখন বাগানগুলোতে বারোমাসি আম , পেয়ারা , আমড়া , ছফেদা ,কামরাঙ্গা ,জামরুল , মাল্টা , বাউকুল , আপেল কুল ছাড়াও বিভিন্নজাতের লেবু ও শাক সবজির চাষ হচ্ছে। জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠছে ছাদবাগান কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংগঠন। এসব সংগঠন অন্যদের অনুপ্রাণিত করছে। সংগঠনগুলো নতুন চারা ও ফুলের গাছ অনলাইনের মাধ্যমে আদান প্রদান করছে। এছাড়া শহুরে জীবনে এটি বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও অনেকে একে বেছে নিয়েছে।
[৪] বাগানীরা জানান সবুজের সমারোহে নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়ার পাশাপাশি পারিবারিক চাহিদাও মিটছে তাদের। পরিবেশ রক্ষা আর নগরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখছে । বাড়ির ছাদ, বারান্দায় বাহারি ফুল গাছের সমন্বয়ে তৈরি করা হচ্ছে সবুজ নগরায়ন।
[৫] যান্ত্রিক জীবনে নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি বাগানীদের পরিবারের সদস্যদের কায়িক শ্রম ও বিনোদনের উৎস হিসেবে ও ছাদ বাগানগুলো ভূমিকা রাখছে।
[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার ছাদ বাগানীদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছেন ।
আপনার মতামত লিখুন :