তৌহিদুর রহমান: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকা জুড়ে সরিষার চাষ হয়েছে। হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠ। এ নিয়ে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা দিনভর পরিশ্রম করছেন। এতে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। শীতের আগনের পর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা ক্ষেতের হলুদ ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছিরা। মৌমাছির মৌ মৌ শব্দ শুনে কৃষকরা রোদের মাঝে মাঠে কাজ করছেন। এমন চিত্র দেখা গেছে গ্রামে গ্রামে।
[৩] উপজেলায় বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। প্রতি বছর ফলন ভাল হওয়ায় আবাদের জমি বাড়ছে। কম খরচে বেশি লাভের আশায় স্থানীয় কৃষকরা আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল এই ফসলের আবাদ করছেন। দেশি জাতের চেয়ে বিদেশি জাতগুলোর ফলন ভাল হচ্ছে।
[৪] সরিষার চাষ পদ্ধতি সহজ ও কম খরচ হওয়ায় এটি লাভজনক। স্থানাীয় কৃষক মো: বকুল মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আগাম জাতের সরিষার চাষ করেন। এখনও মাঠের অবস্থা ভাল। সরিষা আবাদে খরচ কম ফলন বেশি হয়। সার কম প্রয়োগ করতে হয়। সেই সঙ্গে সেচ, কীটনাশক ও নিড়ানির প্রয়োজন হয় না।
[৫] কৃষক শামসু উদ্দিন জানান, মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা নষ্ট হলেও এখন ক্ষেতের অবস্থা ভাল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন ভাল হবে।সরিষার তেল ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া পাকস্থলি, শীত প্রতিরোধক, সর্দি-কাশি, গবাদি পশুর খাদ্য, সার ও জ্বালানি হিসেবে এর কদর রয়েছে। বর্তমানে সয়াবিন ও পাম্প তেল আমদানিতে দাম বাড়ায় সরিষা চাষমুখী হচ্ছেন কৃষকরা।
[৬] আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, প্রতি বছর সরিষার আবাদ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী। সরিষার রোগ বালাই ও রক্ষার কৌশল সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :