আনিস তপন: [২] আজ মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পবিত্র হজ ও ওমরাহ নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে পালন নিশ্চিত করতে এবং এজেন্সিগুলোর নিবন্ধন ও ব্যবস্থাপনার বিধিবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে খসড়াটি তৈরি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
[৩] প্রস্তাবে অনিয়ম ও অসদাচরণের জন্য হজ এজেন্সির নিবন্ধন বাতিলসহ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ এবং ওমরাহ এজেন্সির সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা জরিমানার অর্থ নগদ টাকা আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এভাবে সম্ভব না হলে জামানত কর্তনের কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বা এজেন্সি ১৫ দিনের মধ্যে সরকারের কাছে আপীল করতে পারবে।
[৪] খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা জাতীয় কমিটি গঠিত হবে।
[৫] এছাড়া, ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট হজ ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।
[৬] আইন অনুযায়ী সৌদি সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি বা সমঝোতা অনুযায়ী সেদেশের যেকোনো স্থানে অফিস স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকার।
[৭] এজেন্সি নিবন্ধন আবেদন, নিবন্ধন দেওয়া, নবায়ন, বাতিল সংক্রান্ত পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয় সরকার নির্ধারণ করবে এবং এই আইনের আওতায় নিবন্ধন করা ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হজ ও ওমরাহ এজেন্সি প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা করতে পারবে না। নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ন্যূনতম ৩০ দিন আগে নিবন্ধন নবায়নের আবেদন করতে হবে।
[৮] ফৌজদারি অপরাধে কোনও হজ বা ওমরাহ এজেন্সির স্বত্ত্বাধিকারী, অংশীদার, পরিচালক বা তাতে কর্মরত কোনও ব্যক্তি অভিযুক্ত হলে তা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব, সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :