ফজলুল বারী: হেফাজতের বর্তমান নেতাদের বেশির ভাগ রাজাকারদের আন্ডাবাচ্চা। তাদের আব্বু-চাচারা পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। অতঃপর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জান বাঁচাতে পালিয়ে যান। ওই অবস্থায় তাদের জন্ম হয়। এজন্য তারা সারাক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাদের নিয়েও ভয়ের মধ্যেই থাকেন। একই রোগ থেকে তারা এখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কুষ্টিয়ার এসপি এসএম তানভির আরাফাতেরও পুলিশ বিভাগ থেকে বরখাস্তও চান। এই আবালরা লাই পেয়ে পেয়ে তারা মনে করেছেন এই বাংলাদেশে যা কিছু ইচ্ছা করে ফেলবেন। অথচ এই এসপি তানভির আরাফাতের নানা উদ্যোগ পুলিশে বিশেষ প্রশংসিত। কারণ তিনি যা করেন তা এদেশ নিয়ে তার ও তার বাবা- মা দুজনের আত্মার দায় নিয়েই করেন। আরাফাতের বাবা-মা দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা।
‘মা’ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সংঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১০৩ টাকা খরচ করে পুলিশে চাকরির ব্যবস্থা করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা রাজাকারের আন্ডাবাচ্চা হেফাজতের নেতারা আরেক কারণে এসপি আরাফাতের উপর ভীষণ ক্ষ্যাপা। তাহলো তার চট্টগ্রামে পোস্টিংয়ের সময় ছিলো চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ থেকে শিবির তাড়াতে এই পুলিশ কর্মকর্তার অ্যাকশন আজও তারা ভুলতে পারে না। অতএব এসপি তানভির আরাফাতকে নিয়ে তাদের ভয়, গোস্বা তো থাকতেই পারে। আর আরাফাতকেও রাজাকারের আন্ডাবাচ্চারা হাড়ে হাড়ে চেনে। রাজাকারদের আন্ডাবাচ্চাদের পিটানো থেকে এক চুলও বিচ্যুত করতে পারবে না। পিটুনি থেকে বাঁচতে কান তাদের আবার ধরতেই হবে। ফেসবুক থেকে