তরিকুল ইসলাম: [২] ২০১২ সালে একজন বিচারক ফেনসিডিলসহ আটকের পর হাইকোর্ট নির্দেশ দেন যে গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর কোনো ব্যক্তিকে যেন গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা না হয়।
[৩] রংপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মিলু মিয়া সংবাদ সম্মেলন প্রসংঙ্গে বলেন, এটি একটি অপহরন মামলা। থানা পুলিশ চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়ার পর বাদি নারাজি দেয়ায় আদালতের নির্দেশে আমরা মামলাটি পুনরায় তদন্ত করি।
[৪] বাকিটা আদালতের বিষয়। এই অভিযুক্ত ব্যক্তি এর আগে তার প্রথম স্ত্রী হত্যা মামলার আসামী। ওই বিষয়েও তদন্ত চলমান।
[৫] এসপি মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে, পুলিশ যা করেছে ঠিক করেছে। সমাজের চোখ খুলে দেওয়ার জন্য দরকার ছিল। স্বাধীনতা আছে বলেই চিকিৎসক যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না। তিনি শুধু পরিবার নয়, চিকিৎসক সমাজকে লজ্জায় ফেলেছেন।
[৬] প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতে উপস্থাপনের পরপরই ওই নারী জানান তিনি স্বামী–সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করছেন, অপহরণের শিকার হননি। আদালত তাঁর এই বক্তব্যের পরপরই তাঁকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন। তাঁর স্বামী এখনো অপহরণ মামলায় কারাগারে।
[৭] এ বিষয়ে জানতে পুলিশ সদর দপ্তরের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সিআইডি সূত্র জানায়, সংবাদ সম্মেলনের জন্য ঢাকায় সিআইডির মূল কার্যালয়ে কোনো অনুমতি নেননি মিলু মিয়া বিশ্বাস।
[৮] পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা ফেসবুকে লিখেছেন, আমি দুঃখিত ডা. ...। আমি বিশ্বাস করি, আপনি আপনার পছন্দের ব্যক্তিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আমার সীমাবদ্ধতার জন্যও আমি লজ্জিত। বিশাল প্রক্রিয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশমাত্র আমি।
[৯] কিন্তু নিশ্চিত জানবেন, সীমাহীন আঁধারের শূন্যতায় একটি জোনাক পোকা হয়ে হলেও জ্বলছে আমাদের উদ্যোগ।’ ওই মন্তব্যে তিনি যথার্থ মন্তব্য করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সম্পাদনা: আখিরুজ্জামান সোহান
আপনার মতামত লিখুন :