শাহীন খন্দকার: [২] গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৩৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় পাঁচ মাস পর দেশে করোনা শনাক্ত হাজারের নিচে নেমে এসেছে। শনিবার বিকেলে পাওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন যত সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন, তার দ্বিগুণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
[৩] তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে দেড় গুণ। এই সময়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হলো সাত হাজার ৪২৮ জনের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৬৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৮ জন হয়েছে।
[৪] নতুন শনাক্ত ৮৩৪ জনকে নিয়ে বর্তমানে দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত বেড়ে পাঁচ লাখ আট হাজার ৯৯ জন হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ মে। সেদিন ৬৩৬ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছিলেন।
[৫] চলতি বছর কোরবানির ঈদের পর (আগস্ট) দিনে শনাক্ত রোগী শনিবারই প্রথম হাজারের নিচে নেমেছে। কোরবানির ঈদের পরদিন ২ অগাস্ট ৮৮৬ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। সেদিন মাত্র তিন হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১৬৩টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে নয় হাজার ৯১২টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার আট দশমিক ৪১ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক আট শতাংশ। নতুন যে ৩০ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ এবং নারী সাতজন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
[৭] গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। শুরুর দিকে শনাক্ত হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। ওই মাসের শেষ দিকে শনাক্ত হার ২০ শতাংশের উপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরেই ছিল। এরপর থেকে আবার শনাক্ত কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে একদিনে রোগী শনাক্ত হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নামে। তথ্য সূত্র সমকাল। তবে মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিকে আবার থাকে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্ত গড় দুই হাজার ছাড়ায়। অবশ্য কিছুদিন ধরে নতুন রোগী শনাক্ত দুই হাজারের কম।