জিএম মিজান: [২] শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
[৩] বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আসা মাহি উম্মে তাবাচ্ছুম (৮)কে বাদাম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় কলেজ মাঠে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
[৪] এ ঘটনার সাথে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করে তারা।
[৫] গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের নসরতপুর গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পি আহম্মেদ (২২), দলিল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে কামাল পাশা (৩৪), সানোয়ার হোসেনের ছেলে শামীম রেজা (২২) ও সাহেব আলীর ছেলে লাবলু সেখ (২১)। নিহত মাহি উম্মে তাবাচ্ছুম নসরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকনের মেয়ে এবং পাঁচথুপি-নসরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
[৬] আসামিরা জানায়, প্রায় ৫ বছর আগে বাপ্পি আহম্মেদের আপন বোন ও চাচাতো বোনকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে নিহত তাবাচ্ছুমের বাবা বেলাল হোসেন খোকন। ওই সময় এসব ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। কিন্তু তখন থেকেই প্রতিশোধের নেশা চেপে বসে বাপ্পির মাথায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠান এলাকায় তাবাচ্ছুমকে বাদাম কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাপ্পি ও তার সহযোগীরা পার্শ্ববর্তী হাজি কাজেম জোবেদা টেকনিক্যাল কলেজ মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তাবাচ্ছুমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার হাত-পায়ের আঙুল প্লাস দিয়ে কেটে বিবস্ত্র লাশ বাঁশঝাড়ের ভেতর ফেলে দেয়।
[৬] মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নসরতপুর গ্রামে জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থানে দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবরস্থান কমিটির লোকজন। প্রথম দিন ১৪ ডিসেম্বর রাতে তাবাচ্ছুম দাদা-দাদির সাথে তাফসির মাহফিল অনুষ্ঠানে যায়। সেখানে দাদা-দাদির সাথে মঞ্চের সামনে বসে তাফসির মাহফিল শুনতে থাকে। ওই রাত ১০টার দিকে শিশুটি তার দাদার কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে চিপস কেনার জন্য মঞ্চের শামিয়ানার বাইরে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
[৭] এ অবস্থায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে নসরতপুর গ্রাম থেকে বাপ্পি আহম্মেদ, কামাল পাশা, শামীম রেজা ও লাবলুকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :