তৌহিদুর রহমান: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির সেচ সুবিধা বন্ধ হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ৩৫ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রভাব পড়বে খাদ্যোৎপাদনেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[৩] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্ত করণের কাজ চলছে। ফোর লেনে রুপান্তরের জন্য সড়কের পাশে থাকা বিএডিসির সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলটির (সবুজ প্রকল্প) বিভিন্ন অংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত পানি কুলিং রিজার্ভারের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে সড়ক ও জনপথের জায়গা ব্যবহার করে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের ক্যানেল দিয়ে জমির সেচ কাজের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছিল।
[৪] এই কাজে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি পুকুরকে কুলিং রিজার্ভার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমানে নতুন করে প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল হিসেবে ব্যবহৃত ক্যানেলটির বিভন্ন অংশ ভরাট করে ফেলায় বিএডিসির সবুজ প্রকল্পটিই এখন হুমকীর সম্মুখীন। এসব উপজেলার ২২ টি ইউনিয়ন এই সেচের উপর নির্ভরশীল। প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার চাষাবাদসহ খাদ্য উৎপাদনও ব্যাহত হবে।
[৫] স্থানীয় কৃষক হোসেন মিয়া ও বকুল আলী জানান, এই সেচ প্রকল্প বন্ধ হলে আমাদের আবাদী জমি খিল থাকবে। তাহলে আমরা কি করে খাব। আমরা দাবি জানাচ্ছি সেচ প্রকল্পটি চালু রেখে যেন সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হয়।
[৬] জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, আমরা আশা করছি সরকার জনস্বার্থে সেচ প্রকল্পটি চালু রাখবে। যদি প্রকল্পটি কোন কারণে বন্ধ হয় তাহলে বিকল্প সেচ ব্যবস্থা গড়ে তুলা হবে।
[৭] আশুগঞ্জ-পলাশএগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের পরিচালক মো: ওবায়েদ হোসেন জানান, প্রকল্পটি বন্ধ হলে ৩৪ হাজার কৃষকের ১৬ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হবে। আমরা সেচকাজ অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব।
[৮] এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খান জানান, উন্নয়ন কার্যক্রমের পাশাপাশি সেচ প্রকল্প সচল রাখার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প অফিসসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :