শাহীন খন্দকার: [২] সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চে নব অভিষিক্ত আর্চবিশপ বিজয় এন ডি' ক্রুজ প্রার্থনা পরিচালনা করেন এবং খ্রিষ্টযোগে অংশ নেন।
[৩] আর্চ বিশপ এসময় বলেন, আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই তার পুত্রকে, আমাদের মুক্তিদাতা, ত্রাণকর্তাকে। তিনি যখন পাঠিয়েছেন, তিনি তখন দেহ ধারন করেছেন। তিনি মানুষ হয়েছেন আমাদের মুক্তির জন্য। আর এই মুহূর্তে আমরাসহ সারাবিশ্ব শঙ্কিত, ভীত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে। আমরা প্রার্থনা করি যাতে সারাবিশ্ব এবং প্রতিটি মানুষ এই মহামারি থেকে মুক্তি লাভ করে, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি লাভ করে। যাতে আবার আমরা সুখে শান্তিতে একাত্মতার মধ্যে জীবন যাপন করতে পারি।’
[৪] তিনি বলেন, দেশ ও জাতির শান্তি কামনায় শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গির্জা ও উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনায় সামিল হয়েছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
[৫] সকাল সাড়ে ৮টায় কাকরাইলের সেন্ট ম্যারিস ক্যাথেড্রাল চার্চে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। চার্চের ফাদার বিমল ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, যিশুখ্রিস্ট এ পৃথিবীতে এসেছিলেন শান্তির বারতা নিয়ে। আমাদের প্রার্থনা ছিল সারা বিশ্বের মানুষের মঙ্গল এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা। একই সঙ্গে বিশ্ব যেন করোনামুক্ত হয় সেটিও আমাদের প্রার্থনা।
[৬] একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সবার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। বড়দিন উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন চার্চ ও গির্জায় গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী জাঁকজমকপূর্ণ এই সাজসজ্জায় গোশালা স্থাপন, রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে দৃষ্টিনন্দনভাবে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে।
[৭] দুই হাজার ২০ বছর আগের ২৫ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে জন্ম নেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে পৃথিবীতে তাঁর আগমন ঘটেছিল। বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা শুক্রবার যথাযথ ধর্মীয় আচার,আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই।
আপনার মতামত লিখুন :